সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল সংক্রান্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক এখনও চলমান রয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া সভা সন্ধ্যা সাতটার পরও শেষ হয়নি। বৈঠক শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার থেকে চলা বৈঠকে অনলাইনে পাওয়া মতামত ও বিভিন্ন সংস্থার প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বৈঠকে কমিশন সদস্যরা সুপারিশ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে পে-স্কেলের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোর জটিলতার কারণে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।
[262585]
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নবম পে-স্কেল সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও দপ্তরের প্রস্তাবগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যদিও এখনও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি, তবুও কমিশন বাস্তবসম্মত সুপারিশ প্রণয়নের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ‘কর্মচারীরা আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন ঠেকানো বা আশ্বাস দেওয়া কমিশনের কাজ নয়। কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ প্রস্তুত করার কাজ করছে।’
[262509]
সভা শেষ না হওয়ায় কমিশনের এক সদস্য বিকেল সাতটা পাঁচ মিনিটে জানান, সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, তবে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। সকল প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।
নবম পে-স্কেলের প্রতিবেদন প্রকাশে কতদিন সময় লাগতে পারে সেই প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনের রিপোর্ট প্রস্তুত হলে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানবেন। এরপর কমিশনের চেয়ারম্যান বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
শুধু তাই নয়, কমিশনের লক্ষ্য হলো কর্মচারীদের আন্দোলনের চাপ বা রাজনৈতিক দাবির বাইরে গিয়ে, বাস্তবসম্মত এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিশ্লেষণ করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা। এজন্য প্রতিটি দপ্তর, সংস্থা ও সংগঠনের প্রস্তাবনা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে।
পেশাগত ও আর্থিক স্বার্থের সংবেদনশীল বিষয় হওয়ায়, পে-কমিশন এখনও সময় নিয়েই কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, শেষপর্যায়ে সুপারিশের চূড়ান্ত রূপ দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কার্যকর হবে।
এসএইচ