আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর

  • সোনালীনিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৬, ০৯:৩৯ এএম

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে উপকূলীয় এলাকায় ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস। প্রাণ হারায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষ৻ লাখ লাখ গবাদি পশু ভেসে যায়৻ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বহু গ্রাম, ভেসে যায় গোটা এলাকার ফসলি জমি৻ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ১৮টি জেলায় আঘাত হানে ঐ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কি।

১২ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের জলোচ্ছ্বাস ও প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের ফলে নিমিষেই তলিয়ে যায় নোয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের বাড়িঘর আর মাঠের সোনালী ফসল। স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় কয়েক লাখ মানুষ ও গবাদি পশু। পুরো উপকূল পরিণত হয় বিরানভূমিতে।

এদিকে অতীত ওই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এখন গড়ে উঠেছে অনেক অবকাঠামো। সময় মতো পূর্বাভাস পেলে যেকোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন এখন অনেকটাই সক্ষম।

সেকালে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার না ঘটায় উপকূলের মানুষ ঝড়ের পূর্বাভাস পায়নি। ১০ থেকে ১৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কান্না থামেনি লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকার স্বজনহারা লাখো মানুষের।

সত্তরের এই দিনে গোটা ভোলা জেলাকে তছতছ করে দিয়েছিল ঘুর্ণিঝড় গোর্কি। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ভোলার জনপদ। সত্তরের ঘূর্ণিঝড় গোর্কিতে সরকারি হিসাবে প্রায় ৫ লাখ আর বেসরকারি হিসাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ