কমার্স ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি

এমপি শওকতের জামিন বাতিলে রুল

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০১৬, ০৪:৩৪ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে প্রায় শত কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির দুটি মামলায় নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত আলীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

আগামি ১০ দিনের মধ্যে শওকত আলীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামি ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। একই মামলায় ব্যাংকটির এমডি ড. মো. আসাদুজ্জামান ও বংশাল শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুল গনির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিকালে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

আদালতে আসাদুজ্জামানের পক্ষে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও হাবিবুল গনির পক্ষে আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানি করেন। এছাড়া দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন শুনানি করেন।

ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জামিন শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান জালিয়াতির মূল হোতা সাংসদ শওকত নিম্ন আদালত থেকে জামিনে আছেন। তখন আদালত এমপি শওকতের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মোট আমানতকৃত অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। সেখানে প্রায় শত কোটি টাকা একজনই ঋণ জালিয়াতি করেছেন। যা মোট আমানতের অর্ধেকের বেশি।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চলতি বছর ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সাংসদ শওকতসহ ৯ জনের নামে দুটি মামলা করে দুদক। 

২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিকেল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি