সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাতিলের ইঙ্গিত

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৭, ১১:০৬ পিএম

ঢাকা: সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফের বাতিলের ইঙ্গিত দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, বিচারপতিদের অপসারণের ব্যাপারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা সামরিক স্বৈরাচারদের বই থেকে ধার করে আনা হয়েছে। এটি অস্বচ্ছ, অগণতান্ত্রিক ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

ষোড়শ সংশোধনীর ব্যাপারে আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে সরকার পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর আগের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ৯৬ অনুচ্ছেদ হুবহু ষোড়শ সংশোধনীর মতোই ছিল। সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনীতে অনেক বিষয় ১৯৭২ সালের গণপরিষদ দ্বারা জাতির পিতার অংশগ্রহণসহ যে সংবিধান প্রণয়ন করেছিল, বহুলাংশে সেই সংবিধানে ফিরে গিয়েছিল।

বিচার বিভাগের সম্মান, স্বাধীনতা এবং বিচারক অপসারণের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অভিপ্রায় নিয়ে এই সংশোধনী আনা হয়েছিল এবং তা জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছিল। অন্যদিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতি শুধু মিলিটারি ডিক্টেটরদের বই থেকেই প্রাপ্ত। এটা ১৯৬২ সালের আইযুব খানের সংবিধানে ছিল। তাই এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে কিছুতেই খাপ খায় না।

আইনমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগ যে যুক্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেছেন, সেই সব যুক্তি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার এবং জাতীয় সংসদের কোনোদিনই এই অভিপ্রায় ছিল না যে, কোনো সংশোধনী দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন বা খর্ব করা হবে। ষোড়শ সংশোধনী দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরো সুদৃঢ় এবং স্বচ্ছ হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি মামলার বাইরে গিয়ে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে সংবিধান পরিপন্থী বলে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তাতে আমরা বিস্মিত। আমরা ধন্যবাদ জানাই সেই চারজন বিচারপতিকে যারা প্রধান বিচারপতির ওই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

আর শুধু এটুকু বলতে চাই যে, মাননীয় প্রধান বিচারপতির যে রায় তা যুক্তিতাড়িত নয় বরং আবেগ ও বিদ্বেষতাড়িত। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ও বিচার বিভাগ এখন মুখোমুখি অবস্থায় নয়। সরকার স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় বিশ্বাসী। বিচার বিভাগের কোনো কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করতে চায় না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আতা