৭ মার্চ ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতি সব স্বীকৃতিকে ছাড়িয়ে গেছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৭, ০৯:১৬ পিএম

ঢাকা: সম্প্রতি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি অতীতের সব স্বীকৃতিকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-বিশ্ব ইতিহাসের অনন্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি’ দেয়ায় আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবিসি এক জরিপে ৩৫ কোটি বাঙালির মধ্যে শ্রেষ্ঠ ২০ বাঙালির তালিকা করে। যেখানে সবার উপরে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের নিপীড়িত, বঞ্চিত এবং স্বাধীনতাকামী মানুষকে উজ্জীবিত করে। কিন্তু এই ভাষণের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি অতীতের সব স্বীকৃতিকে ছাড়িয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাষণগুলো ছিল লিখিত পান্ডুলিপি। কোনোটাই উপস্থিত ভাষণ ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল সম্পূর্ণ উপস্থিত বক্তৃতা। তার সতের মিনিটের ভাষণে তিনি অতীত ইতিহাস, তখনকার প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যতের করণীয় সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এ ভাষণের গভীরতা ছিল আকাশস্পর্শী, অতলস্পর্শী। তার সেই ভাষণ বাঙালিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার জন্য নানা সময় চক্রান্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু ছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই টুঙ্গিপাড়া আজ বাঙালির তীর্থ ক্ষেত্র, ধানমন্ডির ৩২ বহু বাঙালির মিলনস্থল।

মন্ত্রী বলেন, চক্রান্তকারীরা বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষকের সঙ্গে স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠককে এক করে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মহানায়ক, স্থপতি তিনিই ঘোষক।

আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিশিষ্টজন,  ‍গুণীজনদের নিয়ে নাগরিক সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। যেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম