ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৭, ০৫:৩২ পিএম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই মোছার চেষ্টা করা হোক, ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়, শিক্ষা দেয়। আজ ৭ মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পেয়েছে। পৃথিবীর কোন ভাষণ এতদিন, এত ঘণ্টা প্রচারিত হয়নি। যতই বাধা এসেছে ততই মানুষ জাগ্রত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্কো ঘোষিত ‘প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে ইউনেস্কো। অথচ একসময় এই ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। যারা এই ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো, তাদের কী লজ্জা হয় না, তাদের কী ঘৃণা হয় না। তারা তো পাকিস্তানি প্রেতাত্মা। তাদের জন্যই একটি জাতি বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারেনি, এর চেয়ে দুভার্গ্য হয় না।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশের নাগরিক সমাজের ব্যানারে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

গত  ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানায়, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে’ যুক্ত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ৭ মার্চের ভাষণটি ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছিল।

সমাবেশের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। বিকেল পাঁচটার দিকে সমাবেশটি শেষ হয়।

সোনালীনিউজ/আতা