সংবাদপত্রের ভূমিকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮, ১২:৪৯ পিএম

ঢাকা : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তখনকার সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সাধারণ মানুষের মধ্যে সংবাদপত্রের প্রচণ্ড প্রভাব ছিল। এখনকার মতো তখন স্যাটেলাইট চ্যানেলের ছড়াছড়ি ছিল না। তাই সংবাদপত্রের খবর, মতামত সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করেছিল।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মিথ্যাচারের ঝুড়ি নিয়ে মাঠে নেমেছিল অধুনালুপ্ত ইংরেজি দৈনিক ‘মর্নিং নিউজ’। সরকারের মুখপত্র হিসেবে ওই সময় ‘মর্নিং নিউজ’ সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছিল। প্রতিদিন মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনে ভরপুর থাকত ‘মর্নিং নিউজ’। সে কারণে ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে পত্রিকাটির জুবিলি প্রেস আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

সেই সময়ের ‘দৈনিক সংবাদ’-এর অবস্থান ছিল ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে। বায়ান্নতে ‘সংবাদ’ ছিল সরকারের তল্পিবাহক। ওই সময়ে পত্রিকাটি সাংবাদিকসুলভ সততা ও ন্যায়নীতি লঙ্ঘন করেছে। তবে জনসচেতনতায় ক্ষুব্ধ ঢেউয়ের উত্তাল শক্তিকে সম্মান দেখিয়েছিল ‘দৈনিক আজাদ’। বড় বড় শিরোনামে একুশের ভাষা আন্দোলনকে জোরালো সমর্থন দিয়ে গেছে ‘আজাদ’।

এর বাইরে ভাষা আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রেখে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল ‘ইনসাফ’, ‘ইত্তেফাক’, ‘সাপ্তাহিক সৈনিক’ ও সিলেটের ‘নওবেলাল’।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত ‘ইভনিং টাইমস’, ‘ইভনিং স্টার’ ও ‘ডন’ পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশন হতে দেখা গিয়েছিল।

দেশের বাইরে কলকাতার ‘আনন্দবাজার’, ‘যুগান্তর’, ‘সত্যযুগ’ ও ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘স্টেটসম্যান’-এ প্রতিদিন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ঘটনার মোটামুটি সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল।

একুশের ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতেই শুধু আবেগ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করে শেষ হয়ে যায়নি। গোটা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতির কাঠামো ধরে সজোরে নাড়া দিতে পেরেছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই