রক্তাক্ত বিকাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮, ০১:০৮ পিএম

ঢাকা : ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করায় লাঠিচার্জে তাদের সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন আহমদ ও আবদুল জব্বার নামের তিন তরুণ। আর হাসপাতালে মারা যান গুলিবিদ্ধ আবদুস সালাম।

অহিউল্লাহ নামে ৯ বছরের একটি শিশুও মারা যায় গুলিতে। এদিন পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। গুলি চালিয়েও ছাত্রদের স্থানচ্যুত করতে পারেনি পুলিশ।

ততক্ষণে সারা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষণের সংবাদ। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকে। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের সংবাদ আইন পরিষদে পৌঁছালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার আইন পরিষদের ছয়জন সদস্য পরিষদের অধিবেশন মুলতবি করে ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে অনুরোধ করেন। সরকারি দলের সদস্য আবদুর রশীদ তর্কবাগীশও প্রস্তাবের পক্ষে উচ্চকণ্ঠ হন।

কিন্তু নুরুল আমিন অনুরোধ উপেক্ষা করে অধিবেশন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে পূর্ব বাংলার সদস্যরা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই