নিজ ঘরে ফিরেছেন আতিউর

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০১৬, ০৬:২৯ পিএম

সোনালীনিউজ রিপোর্ট

রিজার্ভের অর্থ লোপাটের ঘটনায় গভর্নরের পদ হারানো আতিউর রহমান ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ফিরেছেন। বুধবার আতিউর স্যার বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন,   বলেছেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ।

২০০৬ সালে এই বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আতিউর। তিন বছর পর ডেপুটেশনে গিয়ে গভর্নরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ‘হ্যাকিংয়ের’ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার চুরির ঘটনাটি চেপে রেখে সমালোচনায় পড়া আতিউর একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন।

মেয়াদ শেষের কয়েক মাস আগে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর শিক্ষকতায় ফিরে যাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তিনি। অধ্যাপক হিসেবে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে যোগ দেওয়ার আগে নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান ‘সমুন্নয়’ চালাচ্ছিলেন আতিউর। তার আগে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস) রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন তিনি।

১৯৮৩ সালে বিআইডিএসে যোগ দেওয়ার আগে ছাত্রাবস্থায়ই ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। আতিউরের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ নভেম্বর, জামালপুরে। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।

তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পান ১৯৮৩ সালে৷ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণ বিপ্লব নিয়ে অনেক গবেষণামূলক লেখা রয়েছে তার। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২০০৯ সালে আতিউরকে চার বছরের জন্য গভর্নর পদে নিয়োগ দেয়। এরপর ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট পর্যন্ত তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

তার মধ্যেই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পদত্যাগ করতে হল আতিউরকে। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ১০ জন গভর্নরের মধ্যে তাকেই প্রথম এভাবে বিদায় নিতে হল। তবে রিজার্ভের অর্থ চুরির খবর চেপে রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আতিউর বলেছেন, লোপাট অর্থ ফেরত আনা এবং নতুন করে সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘দেশের স্বার্থে’ সময় নিয়েছিলেন তিনি।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা আতিউর নিজেকে বলতেন ‘ভূমিপুত্র’, ‘রাখাল’। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগেও তিনি বলেছিলেন, “আমি মাটি থেকে উঠে এই পর্যায়ে এসেছি। গভর্নরের দায়িত্ব পালনের মধ্যে রিজার্ভে উল্লম্ফন, ব্যাংক সেবা প্রান্তিক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘গরিবের অর্থনীতিবিদ’ অভিধাও পান তিনি। তবে এসব পুরস্কার নিয়ে প্রশংসার সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধও হতে হয়েছে তাকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই