সম্মেলন মঙ্গলবার

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় যারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ১২:৫৩ পিএম

ঢাকা : আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে আসতে প্রার্থিতার ফরম জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ৯৬ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পদ দুটিতে কে কে আসছেন, তা নিয়ে কৌতূহলী অনেকেই।

ছাত্রলীগের এই সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, এবারের নেতৃত্ব বাছাইয়ে যোগ্যতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে সাংগঠনিক দক্ষতা, কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা। সেই সাথে মেধাবী ও ছাত্র হওয়া এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়াও গুরুত্ব পাবে। সেই সঙ্গে অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, বয়সের সীমারেখা এবং বিরোধী মতাদর্শের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না- সেসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়াও একাধিক জরিপের ফলাফল তো রয়েছেই।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জমা পড়া ফরমগুলো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। ফরমে উল্লেখ করা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা তৈরি করবেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। এরা হলেন প্রেসিডিয়ামের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি এম মোজাম্মেল হক।

পরে তারা সেটি ছাত্রলীগের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পাঠাবেন। তার পরামর্শেই চূড়ান্ত হবে নতুন নেতৃত্ব।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার শামস-ই-নোমান বলেন, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম সংগ্রহ এবং জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন ফরম জমা দিয়েছেন। অনেকে কেবল সভাপতি পদে ফরম জমা দিয়েছেন। অনেকে সাধারণ সম্পাদক পদে। কেউ-বা আবার উভয় পদেই ফরম জমা দেন। শীর্ষ এই দুই পদে ফরম জমা দেওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রান্তের শিক্ষার্থীও আছেন। শীর্ষ দুটি পদের একটি এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাইরে থেকে আসতে পারে বলে গুঞ্জন থাকায় এমনটি ঘটেছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় যারা রয়েছেন, তাদের বিভাগভিত্তিক তালিকা এরকম-

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, উপসাহিত্য সম্পাদক জয়দীপ দত্ত (জয়াজৎ) ও উপসমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

উত্তরবঙ্গ থেকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, ক্রীড়া সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিকী সুজন।

বরিশাল বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান) ও কর্মসংস্থান বিষক উপসম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়।

খুলনা বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন।

ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সহসম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী।

ফরিদপুর থেকে ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিব হোসেন, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান।

এ ছাড়া আলোচনায় থাকা অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করা আল আমিন সুজন, এম এ সোহাগ, আনফাল সরকার পমন, আহসান হাবীব, আবু মুছা, সুরাপ মিয়া সোহাগ, ইমরান জমাদ্দার, নিশাদ সাদিয়া খান মিলি, এহসান উল্লাহ পিয়াল ও আশরাফুল ইসলাম ফাহাদ।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই