যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব: নুরুল হক নুর

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৮:৫৭ এএম

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার ওপর হামলার বিচার না হলে ভবিষ্যতে যারা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের গলায়ও প্রতীকী প্রতিবাদস্বরূপ গামছা পরানো হবে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হতে হবে, তা ভাবিনি। শেখ হাসিনার সময়েও এতটা নৃশংস হামলা হয়নি আমার ওপর। যদি এসব হামলার বিচার না হয় এবং আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদেরও গলায় গামছা পরানো হবে—এটাই হবে জনগণের জবাব।

নুর অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছায়ায় থাকা একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দলের প্রধানকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যারা শাসকগোষ্ঠীর ইশারায় চলবে, তারা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাবে, আর বিরোধী কণ্ঠর ওপর নামবে দমন-পীড়ন—এটাই কি নির্বাচন?

তিনি দাবি করেন, দেশে বর্তমানে নির্বাচনকে ঘিরে বিভাজন আরও গভীর হচ্ছে এবং পাহাড়ি অঞ্চলেও অস্থিরতা বাড়ছে। সরকার ও প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আবার সেই পুরনো ধারার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, কিন্তু কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই। এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্তে গতি নেই।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, আমরা সরকারের কোনো সুবিধাভোগী নই, বরং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছি। কিন্তু তার প্রতিদান হিসেবে যদি হামলা, নিপীড়ন আর বিচারহীনতা পাই, তাহলে সাধারণ মানুষের সামনে প্রতিরোধের বার্তা দিতেই হবে।

অন্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আজ যদি আমাদের ওপর হামলার বিচার না হয়, তাহলে কাল আপনি-আমি কেউই নিরাপদ থাকব না। এখনই জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। পরে শারীরিক জটিলতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল।

এম