ঢাকা-২০ আসন নিয়ে বিএনপির রহস্য, মিত্রদের ছাড় নাকি দলীয় কৌশল? 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তবে রাজধানীর প্রবেশদ্বার খ্যাত ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে এখনও কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করছেন, নাম ঘোষণা না করা আসনগুলো মিত্র দলগুলোর জন্য রাখা হতে পারে। যদিও মনোনয়নের আশা ছাড়েননি বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে ধামরাইয়ের চারজন নেতা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। সবাই বলছেন, দল যাকেই প্রার্থী করবে, তার পক্ষেই কাজ করবেন। জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ জানিয়েছেন, দলের নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি জানিয়েছেন, দল ঢাকা-২০ আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে তাকে মনোনীত করবে বলে তিনি আশাবাদী।

ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, এটি দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। সিদ্ধান্ত তো হবেই, আমরা শতভাগ আশাবাদী। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ জানান, তিনি বর্তমানে দেশে নেই, তবে মনোনয়ন আশা করছেন এবং আশাবাদী।

ঢাকা-২০ আসনে অন্যান্য দলগুলোও তুলনামূলকভাবে সক্রিয়। ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আব্দুর রউফ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আসাদুল ইসলাম মুকুল, গণঅধিকার পরিষদের রুবেল এবং এবি পার্টির লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন।

প্রথম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ধামরাই উপজেলা ছিল ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭৩ সালে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭৯ সালে বিএনপির দেওয়ান মোহাম্মদ ইদ্রিস জয়ী হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির খান মোহাম্মদ ইসরাফিল এবং ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির ব্যারিস্টার মো. জিয়াউর রহমান খান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের আসন পুনর্বিন্যাসের পর ধামরাই হয় ঢাকা-২০। ২০০৮ সালে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বেনজির আহমদ। ২০১৪ সালে এম এ মালেক জয়ী হন। এরপর ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও বেনজির আহমদ বিজয়ী হন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়ন ঘোষণার দেরি নির্বাচনকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। স্থানীয় নেতাদের উৎসাহ এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই আসনকে নির্বাচন কম্পিটিশনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। দলীয় সিদ্ধান্তের পর স্থানীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থীকে সমর্থন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোটাররাও দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ধানের শীষের জন্য একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।

এসএইচ