ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, এতে প্রতি পরিবারের পকেটে মাসে ৫-১০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে, যা পরিবারের পুষ্টি, শিক্ষা ও আনন্দে ব্যয় হতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমল মেডিকেট’ আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
[260942]
‘কমল মেডিকেট’-এর নামকরণ প্রসঙ্গে আমীর খসরু আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘কমল আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের ডাকনাম। এ নাম শুনলেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এ নামে যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তার পেছনে প্রেরণা, ভালোবাসা ও উদ্যমের একটা বড় জায়গা রয়েছে।’
তিনি বলেন, উন্নত দেশে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে সমাজসেবা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ রক্ষা ইত্যাদি কাজ তাদের রুটিনে থাকে। বাংলাদেশেও এ ধরনের উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে এ ক্ষেত্রে উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, যা সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুসরণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি না থাকার বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ফার্মেসিও নেই, এটা অবিশ্বাস্য। এর মানে আমরা স্বাস্থ্যসেবার প্রতি কতটা অসচেতন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নাগরিকের প্রাথমিক অধিকার। কিন্তু আমরা এই প্রাথমিক অধিকার ভুলে দুর্নীতি ও অপচয়ের মাধ্যমে জনগণের ট্যাক্সের টাকা নষ্ট করছি।’
তিনি আরও বলেন, আগামী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেলে প্রতিটি বিনিয়োগকে যাচাই করা হবে এই মাপকাঠিতে: এটা জনগণের স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিশ্চিত করছে কি না, পরিবেশ রক্ষা করছে কি না, রিটার্ন দিচ্ছে কি না।
স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জিডিপির সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে প্রথম অগ্রাধিকার প্রতিরোধমূলক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা। প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির গণতান্ত্রীকরণ’ বিএনপির মূল স্লোগান। অর্থাৎ উন্নয়নের সুফল যেন প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছায়। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিককে উন্নয়নের অংশীদার করা হবে।
অনুষ্ঠানে কমল মেডিকেটের উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘যারা এই মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এ ধরনের কাজই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
এসআই