ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর বক্তব্যের বরাতে দেওয়া মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
ডিএমপি কমিশনার, সাদিক কায়েম এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিজভীর এই অবস্থান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ডিএমপি কমিশনারের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর এক সাবেক ভিপির চা খাওয়ার একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জানা যায়, উভয় বিষয়ই ছিল ভিত্তিহীন ও এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এসব তথ্য যথাযথভাবে যাচাই না করেই রুহুল কবির রিজভী শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রিজভী একাধিক মন্তব্য করেন, যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি বলেন, ঘটনার মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বক্তব্য ছড়িয়ে পড়া সন্দেহজনক। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতাকে ইঙ্গিত করে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
রিজভী দাবি করেন, পুলিশ কমিশনারের বরাতে বলা হয়েছে যে হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত। অথচ তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই একজন ছাত্রনেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ করেছেন, যা অনভিপ্রেত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি অতীতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খাওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
রিজভীর ভাষায়, একটি মহল পাঁচ আগস্টের পর থেকে দেশে ‘মব কালচার’ তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ঘৃণ্য হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এম