ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কোনো নেতার সরাসরি উপস্থিতি না থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে নতুন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
সোমবার শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশের আয়োজন করেছিলো ইনকিলাব মঞ্চ। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ জাবের জানিয়েছেন, বিএনপি সরাসরি উপস্থিত না হলেও তারা ইনকিলাব মঞ্চের সব আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে।
বিএনপির কোনো প্রতিনিধি না থাকলেও সভায় দেশে বর্তমানে সক্রিয় থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিতর্কিত বক্তব্য, এক লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব, নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করার হুমকি নিয়েও সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার বা উত্তেজনা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার কারণে তারা সশরীরে সভায় অংশগ্রহণ করেননি।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস যেভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা সোমবারের সভায় বিএনপির নেতাদের সরাসরি অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে দলটি সমাবেশে সমর্থন প্রকাশ করলেও শারীরিক উপস্থিতি দিতে এড়িয়ে গেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দলগুলোর কৌশলগত অবস্থানের প্রতিফলন। বিএনপির সিদ্ধান্ত যেকোনো উস্কানিমূলক পরিস্থিতি এড়ানোর পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তিও বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এসএইচ