পুরো বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে গেলো ওসমান হাদি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু পুরো দেশে শোকের ছায়া ফেলেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়।

জানাজার আগে হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে কাঁদতে দেখা গেছে। বিটিভি লাইভে প্রচার হওয়া ওই বক্তব্যে দেশের গ্রাম-গঞ্জে, শহর ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকেও আবেগমুখী করে তোলে। লাখো মানুষ চোখে জল ধরে রাখতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম এবং এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, আসাদগেট এবং আশপাশের এলাকা মানুষের সমুদ্রে ভরে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা ‘আমরা সবাই হাদি হবো যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’-এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শরীফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে জুমার নামাজের পর নির্বাচনী গণসংযোগের উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় যাওয়ার পথে দুর্বৃত্ত ফয়সাল করিম মাসুদের গুলিতে গুরুতর আহত হন।

সপ্তাহব্যাপী মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর ১৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার দেশে মরদেহ ফেরানোর পর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। সেখানে গোসল শেষে মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।

হাদির জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং দেশপ্রেমিক, বিপ্লবী ও সাহসী নেতা হিসেবে তাকে স্মরণ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হাদির জন্য শোকগাঁথা ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক শোকাবহ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়।

শহীদ হাদির জীবন, সংগ্রাম ও বিপ্লবী চেতনা দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অমর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার বিদায়ের মুহূর্ত পুরো বাংলাদেশকে আবেগময় করেছে-একটি দেশব্যাপী শোকযাত্রায় পরিণত হয়েছে।

এসএইচ