এসি ছাড়া বাস চলবে না ঢাকায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম

ঢাকা : রাজধানী ঢাকার রাস্তায় এখন শুধু এসি বাস সার্ভিস চালুর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহনের সেবা দিতে চালু হবে বহুল প্রচারিত বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজি পদ্ধতি। এর আওতায় সুনির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির অধীনে চলবে এ শহরের বাস সার্ভিস। সেখানে সদ্য অনুমোদনপ্রাপ্ত এসি বাস সার্ভিস যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত বাস কোম্পানির কাছে চিঠি দিচ্ছে বিআরটিএ।

নতুন করে আর সাধারণ বাস-মিনিবাস (নন-এসি) চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। অনুমোদিত বাসগুলোর ব্যাপারেও নতুন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বিশেষ বিবেচনায় বিদ্যমান রুট পারমিটবিহীন ৭১টি রুটে ১৭৩৪টি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে এসি বাস চলছে সরকারি নীতিমালা ছাড়াই। নেই তাদের সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার। ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। সরকারের ব্যয়-বিশ্লেষণ কমিটি এখনো এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাড়ির দাম ও মানের বিবেচনায় এসি বাসের ক্যাটাগরি ভিন্ন। এক গাড়ি দাম ৭০ লাখ তো আরেকটির দাম এক কোটি টাকা। ভাড়া নির্ধারণে ২১টি বিষয় বিশ্লেষণ করার কথা। এর মধ্যে গাড়ির দাম, যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অন্যতম। তাই ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে কার্যকর সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি সরকারের ব্যয়-বিশ্লেষণ কমিটি।

এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, নন-এসি ও এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণে পৃথকভাবে কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে এবং আরো বৈঠক হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকায় নতুন করে নন-এসি বাসের রুট পারমিট দেওয়া হবে না। তবে বিদ্যমান বাস সার্ভিস চলবে। এসি বাসও নামবে। আর ঢাকায় বাস রুট নেটওয়ার্ক হবে। রুটভিত্তিক কোম্পানিতে চলবে বাস।

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় কী পরিমাণ গাড়ি কোন রুটে চলবে তা নির্ধারণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি)। এ কমিটির সভাপতি ডিএমপি কমিশনার ও সদস্য সচিব বিআরটিএর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক। আরটিসির সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- ঢাকা মহানগরীতে নন-এসি বাস রুটের পারমিট প্রদান বন্ধ থাকবে। বর্তমানে ৩৬৬টি রুটে ৬৩৮৯টি বাস ও ২৬২৮টি মিনিবাস চলাচল করছে। তবে অনুমতি সত্ত্বেও সব বাস রাস্তায় চলে না। যানজটের কারণে ট্রিপের ঘাটতি এর বড় কারণ। এ ছাড়া চলাচলের জন্য তিন ধাপে চাঁদা দিতে হয়। অনেক কোম্পানি তাদের বাসের রুট পারমিটের মেয়াদ আবেদন করে বাড়িয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে নন-এসি বাসের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ আরটিসির বৈঠকে এ সংক্রান্ত অনেক প্রস্তাব নাকচ করা হয়।

বৈঠকে ঢাকা শহরে প্রাইভেট গাড়ির (প্রাইভেট কার/রিকশা) ব্যবহার কমানো এবং যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এসি বাসের রুট পারমিট দেওয়া যৌক্তিক। তাই ঢাকা মেট্রো আরটিসি উপকমিটি কর্তৃক ৬৭টি এসি বাস কোম্পানির আবেদন যাচাই-বাছাই করে ২২টি কোম্পানির ৮৬০টি এসি বাসের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি রুট আন্তঃজেলা হওয়ায় ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের অনাপত্তি পেয়েছে। অর্থাৎ রাজধানীতে ২১টি কোম্পানির অধীনে ৮২০টি নতুন এসি বাসের রুট পারমিট দিয়েছে আরটিসি। এসব বাস পরবর্তী সময়ে একীভূত হবে কোম্পানিভিত্তিক বিশেষ বাস নেটওয়ার্কের অধীনে। বাস নেটওয়ার্ক বাস্তবায়িত হলে এসব এসি বাস কোম্পানির আওতায় চলাচলের সুযোগ পাবে বলে আরটিসির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এএস