প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে এক অসহায় পরিবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:৩৬ পিএম

ঢাকা: রূপগঞ্জ থানায় বার বার গিয়ে মামলা না নেওয়ার কারণে ফিরে এসেছে পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কাছে গিয়েও পাইনি কোন সমাধান। শেষ পর্যন্ত গোটা পরিবার নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে নেমেছে একটি পরিবার। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাবের সামনে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কুমু পরিবার হাতে লেখা প্লে-কার্ড নিয়ে দাড়িয়ে আছে। প্লে-কার্ডে লেখা মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বাচাঁন, আমরা বাচঁতে চাই এই শ্লোগান নিয়ে দাড়িয়ে আছেন তৃতীয় শিশু কন্যার ঈশা রহমান, ফাতেমা রহমান, মনোয়ারা সুলতানা।

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকের হাত থেকে বাঁচার দাবীতে আমরণ অনশনের কর্মসূচীতে দাঁড়িয়ে তারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কুমুর পুত্র মোঃ মুকিত অভিযোগ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাষারাতে আমরা বসবাস করলেও ২০০০ সালে পারিবারিক ভাবে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ মৌজায় ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। কিন্তু গত দেড় বছর যাবৎ রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক গং এই জমি জবর-দখল করে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয় না। এসপি সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম, তিনি অভিযোগ গ্রহণ করে ওসি সাহেবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ওসি সাহেব কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছি। দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মরে গেলেও এখান থেকে যাবোনা। এই কথা বলেছিলেন আর অঝরে কাঁদছিলেন। এই সময় তার কথা মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও মানবাধিকার কর্মী এস.এম মাহবুব রহমান খোকন, মানবাধিকার কর্মী মারুফ সরকারসহ প্রমূখ। গতকাল ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে তারা অনশন শুরু করে।

আমরণ অনশন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে ভূমিদসু্যুরা, তারা নদী দখল করছে, কিষানের ক্ষেত দখল করছে, সরকারের খাস জমি দখল করছে, আর ঢাল হিসাবে কেউ কেউ পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের মালিক হিসেবে নিজেদেরকে প্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যতঃ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। যারা জনপ্রতিনিধি তারা যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হত, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন অসহায় মানুষ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিচারের দাবীতে দাঁড়াতো না। গণতন্ত্র ও উন্নয়ণ এখন দূর্নীতির চাদরে ডাকা পড়েগেছে। এখান থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও তার পরিবারও ভূমি দস্যুদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। 

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগ যদি তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে সরকারের উচিৎ অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে জমি ফেরৎ দেওয়ার দাবী জানান। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলেঃ ০১৬৩৯৭২৩১০৩ নাম্বারে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার জন্য অনুরোধ করছি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ