ঢাকা : রাজধানীর দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকায় গণধর্ষণের অপবাদ সইতে না পেরে ফাতেমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে বলে তার স্বামী সোহেল শেখের দাবী। পুলিশ বলছেন ঘটনাটি রহস্যজনক।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ ফাতেমার স্বামী সোহেল শেখের বরাতদিয়ে জানান, তাদের বাসা দক্ষিণখান ফায়দাবাদ ছাপড়া মসজিদ এলাকায়। ফাতেমার সঙ্গে এটি তার তৃতীয় বিয়ে। গত জুন মাসে ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন তিনি। আর ফাতেমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে।
তার প্রথম বউয়ের সঙ্গে সোহেলের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় বউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় তাদের বাড়িওয়ালা আলী আহমদ, রানা, আলমগীর, নাজমুলসহ চারজন মিলে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। ভয়ে তার স্ত্রী ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলেননি। চলতি মাসে তিনি জানতে পারেন। গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণখান থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় আলী আহমেদ ও রানা কারাগারে আছে। গত দুইদিন আগে মামলা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। কেন ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে, তা বলতে পারেননি সোহেল।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নুল আবেদীন জানান, সন্ধ্যায় বাসায় এসে সোহেল ফাতেমাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি জানান, মামলার ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। গত পরশুদিনও তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ কারণেই ফাতেমা আত্মহত্যা করতে পারেন।তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফাতেমা গত জুনে গণধর্ষণের শিকার হন। গত ৪ অক্টোবর তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় দুই আসামি কারাগারে আছে বলেও জানান তিনি।
সোনালীনিউজ/এসআই/এএস