ওয়াসার উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টিকারীদের শাস্তির দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম

ঢাকা: ওয়াসার চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সার্বজনীন সুপেয় পানির চলমান কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা।

কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ওয়াসার ভেতরকার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওয়াসাকে বিতর্কিত করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। 

সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা যাতে কোনোভাবেই পূরণ না হয়, তারা সেই চেষ্টা করছে। তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

সংগঠনের আহ্বায়ক ও মানববন্ধনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ঢাকা সিটি ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ। 

সবার জন্য দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪০ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা বর্তমানে উৎপাদন করছে প্রায় ২৬০ কোটি লিটার। ফলে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে প্রায় ৯৮ শতাংশ। 

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭টি শর্তের মধ্যে ৬ নম্বর-টি হচ্ছে সুপেয় পানি নিয়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০০৯ সালে পূর্বের ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন সাধন করে তাকসিম এ খানকে নিয়োগ দেয় সরকার। 

বর্তমান ব্যবস্থাপক সরকারের নির্দেশে ‘ঘুরে-দাঁড়াও’ ঢাকা ওয়াসা কর্মসূচি নিয়ে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ঢাকাসহ এর আশপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিতের জন্য ১৯৬৩ সালে ঢাকা ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হয়।  

বর্তমান সরকারের নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় এবং মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অর্থায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে ওয়াসা কাজ করে যাচ্ছে। পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন উভয় মহাপরিকল্পনা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সিস্টেম লসের কারণে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করা সম্ভবপর নয়। তাই সিস্টেম লস কমাতে ঢাকা ওয়াসার বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগে ঢাকা ওয়াসার ঘাটতি ছিল ৪০ শতাংশের বেশি। 

কিন্তু গত ১০ বছরে সিস্টেম লস কমিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাংশে নামানো সম্ভব হয়েছে এবং বাইরে তা ২০ শতাংশে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। 

এ সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ওয়াশার নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা জানান। 

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অবিভক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক ১০ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফজলুল হক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউল হক জিয়া, সাগর আহমেদ, ডা. আমিনুল ইসলাম, শেখ ফরিদ ও রোকেয়া বেগম প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এআর