চিড়িয়াখানায় বাড়ল প্রবেশ ফি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০১৮, ০৮:৪৩ পিএম
ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। আগে প্রবেশ ফি ৩০ টাকা ছিল।  

রোববার (৪ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে জাতীয় চিড়িয়াখানার উপদেষ্টা কমিটির একসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে চিড়িয়াখানায় ভাড়ায় পিকনিক করার সুযোগ বাতিল করে পিকনিক-স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। উৎসব দ্বীপ ও নিঝুম দ্বীপ নামক ২টি পিকনিক-স্পটে যথাক্রমে ১০ ও ৬ হাজার টাকায় এতদিন যেকেউ দিনব্যাপী বনভোজন করার অনুমতি পেতো। চিড়িয়াখানার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের দরুণ চিড়িয়াখানার লেকে টিকিট কেটে বড়শিতে মাছ মারা বন্ধ অথবা সীমিত করার পরামর্শও দেয় উপদেষ্টা কমিটি।

চিড়িয়াখানার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সার্বিক উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী ৩২ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি বছরে দুবার সভার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

২০১৪ সালে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি পুনর্গঠন করে ২৪ অক্টোবরে যে নতুন কমিটি গঠন করা হয়, এটিই তার প্রথম সভা। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই কমিটি।

বর্তমান কমিটির উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, আসলামুল হক এমপি, ইলিয়াস হোসেন মোল্লাহ এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

সভায় চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ফি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকায় নির্ধারণের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার বাইরের গাড়ি-পার্কিংয়ের ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তসহ রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেলের প্রচলিত পার্কিং-পদ্ধতি বাতিল করা হয়।

এছাড়াও ১১৫টি কার ও ১০টি মিনিবাসের সংকুলান সম্পন্ন একটি বর্ধিত বহিঃপার্কিং নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় জানানো হয় যে, ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নের জন্য মাস্টার প্লান স্ট্রাকচারাল ডিজাইন প্রণয়নসহ ৩৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যাসহ জনদুর্ভোগ দূরীভূত হবার পাশাপাশি জাতীয় চিড়িয়াখানাটি বিশ্বে অত্যাধুনিক চিড়িয়াখানার কাতারে নাম লেখাতে সক্ষম হবে।

মন্ত্রী চিড়িয়াখানার বিনোদনধর্মী উদ্দেশ্য-লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এমন সব প্রকল্প ও সিদ্ধান্ত পরিহার করে জনগণ ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান। অত্যাধুনিক চিড়িয়াখানার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি পদ্ধতি বাতিলসহ তাদের বিভিন্ন দেশের উন্নত চিড়িয়াখানা পরিদর্শন মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনের ওপর জোর দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকার, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাঈদ মো. রাশেদুল হক প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম