মিনায় যে আমল করবেন হাজিরা

  • ধর্মচিন্তা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম

ঢাকা : সৌদি আরবের স্থানীয় হিসাবে আজ ৭ জিলহজ। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করছেন।

সকাল থেকেই নিজ নিজ হোটেল কিংবা মসজিদে হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে লাব্বাইক ধ্বনিতে পথ-ঘাট মুখরিত করে দলে দলে রওনা হবেন মিনার দিকে। বিধানভেদে সৌদি আরবের স্থানীয় কিংবা বিদেশি হজযাত্রী যারা মক্কা ছাড়া মদিনা কিংবা অন্যান্য স্থান থেকে মিনার উদ্দেশে আসবেন, তারা তাদের মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে সরাসরি চলে যাবেন মিনায়।

[201946]

হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল জোহরের আগেই সব হাজিকে পৌঁছাতে হবে তাঁবুর শহর মিনায়। আগামী ১২ কিংবা ১৩ জিলহজ এ মিনাতেই হজের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

পবিত্র নগরী মক্কা থেকে তাঁবুর শহর মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। হজপালনকারীদের অনেকেই এ পথ হেঁটে অতিক্রম করবে। ২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মিনা প্রান্তরে ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত অবস্থান করা সুন্নত।

হজপালনকারীদের অবস্থানের জন্য স্থাপিত লক্ষাধিক তাঁবু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে। হজের কাজ সম্পাদনে ধর্মপ্রাণ মুসলমান নারী-পুরুষ ছয় দিন ছয় রাতের মধ্যে পাঁচ দিন পাঁচ রাতই অবস্থান করবে মিনার এ তাঁবুগুলোতে।

৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর মিনা থেকেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা জাবালে রহমতের পাদদেশ ও মসজিদে নামিরা-সংলগ্ন ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হবেন হাজিরা।

[201935]

মিনায় রওনা হওয়ার সময় বেশি বেশি তালবিয়া পড়তে হবে। আল্লাহতায়ালার কাছে হজের আমল কবুল হওয়া এবং সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করা জরুরি।

মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং পুরো সময় মিনাতেই থাকা। তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকা। হজের পাঁচ দিনের মধ্যে আজ প্রথম দিন। অতি মূল্যবান সময়। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই