অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হলে করণীয়

  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২২, ১১:৪৮ এএম
প্রতীকী ছবি

ঢাকা : রুমি একটি ফেসবুক পেজ থেকে থ্রি-পিস অর্ডার দেন। সময়মতো বাসায় ডেলিভারি পান; কিন্তু পণ্য হাতে পাওয়ার পর তার মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কারণ কাঙ্ক্ষিত মানের পণ্য পাননি তিনি। তার মনে হয়েছে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগ জানিয়ে অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তারা পণ্য পরিবর্তন বা ফেরত নিতে অস্বীকার করে।

এখন রুমি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এ নিয়ে তিনি একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করেন। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী রুমিকে যে পরামর্শ দিলেন, আপনি যদি অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হন, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতে মামলা : প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার পর সেটার রশিদ বা ক্যাশমেমো দিয়ে জেলা জজ আদালতে অথবা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করতে পারবেন।

আদালত আপনার অভিযোগ যাচাই-বাচাই করবেন। তারপর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেবেন। যদি আদালতে আপনার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, তাহলে আদালত অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড দিতে পারেন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে।

ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ : অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে।

অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার পর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের কার্যালয়ে গিয়ে অথবা ওয়েবসাইটে দেওয়া মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন।

সেই অভিযোগের পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগকারীর কাছে পোস্টাল রশিদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবেন। দুই পক্ষ থেকে শুনানি শেষে অধিদপ্তর ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই