মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর

  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩, ১১:২৭ এএম

ঢাকা : ‘আলট্রা ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল’ নামে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ ব্ল্যাকহোলে ৩ হাজার কোটি সূর্যের জায়গা হবে। পৃথিবী থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এই ব্ল্যাকহোল অবস্থিত। গ্রাভিট্যাশনাল লেন্সিং নামে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হয়েছে। টেলিস্কোপ দিয়ে যতটুকু পর্যন্ত দেখা যায়, তার চেয়েও বেশি দূরত্বের জিনিসের অবস্থান এ পদ্ধতিতে শনাক্ত করা সম্ভব।

রাতের আকাশে যত নক্ষত্র ও গ্রহ দেখা যায়, সবগুলোকে একসঙ্গে রাখলেও ব্ল্যাকহোলটির এক শতাংশও হবে না। এটি মহাবিশ্বের বেশিরভাগ গ্যালাক্সির চেয়েও আকারে বড়। ব্ল্যাকহোলটি সক্রিয় নয়। এটি এখন কিছু গিলছে না। এ ব্ল্যাকহোলে শক্তিশালী এক্সরে রেডিয়েশন শনাক্ত করা যায়নি। বিশাল আকার ও ভরের নক্ষত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে নিজের মধ্যে সংকুচিত হয়ে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হয়। ফলে       কৃষ্ণগহ্বরের আয়তন অনেক কম কিন্তু ভর অত্যন্ত বেশি।

কৃষ্ণগহ্বরের ভর এত বেশি থাকে যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোনো কিছুকেই এর ভেতর থেকে বের হতে দেয় না। এমনকি আলোও কৃষ্ণগহ্বরের মহাকর্ষীয় বল উপেক্ষা করে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে টেলিস্কোপ দিয়ে সরাসরি কৃষ্ণগহ্বর দেখা যায় না। আশপাশের বস্তুর ওপর এর প্রভাব নির্ণয় করে বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব বোঝেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই