নারীদের যৌনানন্দের ‘সেক্স টয়’ যেভাবে এলো

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৭, ০২:৫৯ পিএম

ঢাকা: নারীদের যৌনানন্দের জন্য তৈরি যেসব ‘সেক্স টয়’ বাজারে আমরা দেখি, তার ইতিহাস কিন্তু, অনেক পুরনো। প্রায় তিন হাজার বছর আগে, গ্রিকদের আমলে প্রথম সেক্স টয়ের ব্যবহার হয়। তবে সেটা এখনকার মত এত উন্নত ছিল না। সে সময় কাঠের টুকরা, কাদা মাটি দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গের আকারে তৈরি করে নারীরা সেটা ব্যবহার করতেন। সময়ের পরিবর্তনে কখনো তীর, বর্শা বন্দুক ইত্যাদির ব্যবহারে এক সময় ডিলডো বা প্লেজারপ্যাডে পরিণত হয়েছে।

প্রাচীন গ্রিস:
গ্রিকদের স্থাপত্য খুঁড়ে প্রথমে মাটির তৈরি ডিলডোর সন্ধান পাওয়া যায়। যা তৎকালীন রানী ও অভিজত নারীরা নিজেদের যৌন সুখের জন্য ব্যবহার হতো। 

মধ্যযুগ:
মধ্যযুগেও নারীরা যৌনসুখের জন্য নানা উপায় অবলম্বন করতো। বিশেষ করে সেই সময় নারীরা একটি যৌনাঙ্গ আকারের পাত্রে বা চামড়ায় গরম পানি নিয়ে সেটা ব্যবহার করে যৌনসুখ উপভোগ করতেন।

চৌদ্দশ শতাব্দি:
এই সময় এসে ইতালির মেয়েরা ডিলডোর আকারে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন আনে- চামড়া, পাথর, হাতির, দাঁত দিয়ে এটা তৈরি ডিলডো যৌনানন্দের জন্য ব্যবহার করতেন।

ব্রিটেনে ডিলডো:
১৫০০ শতাব্দিতে প্রথম ব্রিটেনের নারীরা ডিলডোর ব্যবহার শুরু করেন। এর কিছু শতক পরেই ডিলডোতে ইলেকটনিক্স ডিভাইস ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে এসে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। তবে সেটা ছিল গোপনে। সর্বশেষ একুশ শতকে এসে এটা পরিপূর্ণতা পায়।

এতক্ষণ তো আমরা নারীর জন্য ডিলডোর আলোচনা করলাম। পুরুষের কী নারীর বিকল্প কিছুই তৈরি হয়নি? হ্যাঁ হয়েছে, তবে সেটা উনিশ শতকের দিকের কথা। ব্রিটিশ রাজা দ্বিতীয় এ্যাডওয়ার্ডে যৌনানন্দের জন্য প্রথম চেয়ার তৈরি করা হয়। যেটাতে বসে তিনি নারীদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতেন। তবে সেটা নারীর বিকল্প ছিল না।

গাইব্রেটর

এরপর সম্প্রতি বিজ্ঞানী অ্যাডাম লুইস পুরুষের জন্য কিছু তৈরি করা যায় কিনা সেটা ভাবে। যেই ভাবা সেই কাজ পুরুষের জন্য ‘গাইব্রেটর’ নামের একটি ডিভাইস তৈরি করেছেন।

এতকাল ভাইব্রেটর ছিল মহিলাদের সম্পত্তি। যান্ত্রিক এই জিনিসটিতে যে কম্পন তৈরি হয় তাতে মেলে তুমুল যৌনসুখ! এ জন্য নারীকূলের কাছে বেশ জনপ্রিয় যন্ত্রটি। ঠিক এই ব্যাপারটিকেই এবার ছেলেদের দুনিয়ায় নিয়ে এলেন অ্যাডাম লুইস এবং তার যৌন খেলনা তৈরির সংস্থা ‘হট অক্টোপুস’! এ বিষয়ে অ্যাডামের সোজাসাপটা বক্তব্য, ‘এমন কিছু একটা ছেলেদেরও চাই, যা ব্যাপারটাকে প্রায় চরম সুখের পর্যায়ে নিয়ে যাবে! যান্ত্রিক হলেও এর ব্যবহারকারীরা অর্গ্যাজমের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ষোলো আনা সুখই পাবেন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই