‍‍‘বন্ধু‍‍’ কাদিরকে হারিয়ে শোকে কাতর পাক প্রধানমন্ত্রী

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম

ঢাকা: শুক্রবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদির (৬৩)। আর তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাক ক্রিকেটে। শোকাচ্ছন্ন বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা। তবে বেশি মন কাঁদছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের।

বন্ধু পরপারে চলে যাওয়ায় শোকে কাতর তিনি। কাদিরের ক্রিকেটে উঠে আসার গল্পটা ছিল রূপকথার মতো। যে সময় ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগস্পিনাররা পাত্তাই পেতেন না, ঠিক সে সময়ে আবির্ভাব ঘটে তার। এসেই কাঁপাতে থাকেন সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের। সমানতালে টেস্টে ত্রাস, আতংক ছড়াতে থাকেন তিনি। তাতে নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট বিশ্বের দলগুলো। তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হয় তাদের।

তার হাত ধরেই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় লেগস্পিন। পরে যেটাকে জাগিয়ে তোলেন শেন ওয়ার্ন, মুশতাক আহমেদরা। এক পর্যায়ে সেটিকে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে দেন তারা। যার হাত ধরে বেঁচে যায় লেগ স্পিন, সেই কাদিরকে তুলে এনে বিশ্ব ক্রিকেটকে ঋণী করে দেন ইমরান খান।

৮০'র দশকে টেস্ট ও ওয়ানডে-দুই সংস্করণে তার সঙ্গে ভয়ংকর জুটি গড়ে তোলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের সেই সতীর্থকে হারিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সপ্তাহখানেক পরই ৬৪ বছর বয়সে পা রাখতেন কাদির। এর আগেই অসংখ্য ভক্ত, গুনগ্রাহীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তিনি। 

এক শোকবার্তায় ইমরান বলেন, আমি খুব ভালো একজন বন্ধু হারালাম। আর আমরা খোয়ালাম দুর্দান্ত এক ক্রিকেটারকে, যে দেশের হয়ে নিজেকে সর্বদা নিংড়ে দিতেন।

ক্রিকেটার জগত থেকে রাজনীতিবিদ। এরপর দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইমরান। কাদিরের মৃত্যুকে এ সময়ে বড় আঘাত বলে মনে করছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারেও শোক প্রকাশ করেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। 

ইমরান বলেন, কাদিরের চলে যাওয়া আমাকে খুব পীড়া দিচ্ছে। তার পরিবারের প্রতি আমার দোয়া ও সমবেদনা রইল। সে ছিল এক অপার রহস্য, তুখোড় প্রতিভা, সর্বকালের সেরা অন্যতম লেগস্পিনার। কৌতুক-রসের কথা বলে সবসময় দল ও ড্রেসিং রুম চাঙা রাখত ও।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ৬৭ টেস্ট খেলে ২৩৬ উইকেট শিকার করেন কাদির। ১০৪ ওয়ানডেতে দখল করেন ১৩২ উইকেট। তাকে বলা হয় কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন, মুশতাক আহমেদের গুরু। ১৯৮৭ সালে লাহোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫৬ রানে ৯ উইকেট নেন তিনি। এটিই ছিল তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ইমরানের নেতৃত্বেই এ অর্জন করেন কাদির।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ