‘একশো জনের অধীনে খেললেও আমার অধিনায়ক সব সময়ই সৌরভ’

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০২:১৯ পিএম

ঢাকা : ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষণ, অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিং একেকজন কিংবদন্তি।  ইডেন গার্ডেন্সে দিনরাতের টেস্টের প্রথম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে মাঠেই একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁদের আলোচনায় উঠে এল ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হিরো কাপ ফাইনাল, ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে রুদ্ধশ্বাস জয়ের সেই সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস। সকলেই ধন্যবাদ জানালেন তাঁদের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানে ভারতীয় বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে একসঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য।

৪০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে সৌরভেরও থাকার কথা ছিল।  কিন্তু প্রশাসনিক কাজের ব্যস্ততায় তিনি থাকতে পারেননি। কুম্বলে বলেন, ‘‘সেই খেলোয়াড় জীবনের পরে এ রকম এক সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ এর আগে আমরা পাইনি। এটা বিশেষ একটা দিন। এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করার জন্য ইডেনই আদর্শ।”  যাঁর ১২ রানে ছয় উইকেটের দুরন্ত বোলিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৬ বছর আগে ভারতকে স্মরণীয় জয় এনে দেওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।

গ্যালারি থেকে কলকাতার ক্রিকেট ভক্তদের ক্রমাগত ‘শচীন, শচীন’ চিৎকার মাস্টার-ব্লাস্টারকে যেন নিজের খেলোয়াড় জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।  ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই টেস্টে লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড় ৩৭৬ রানের ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ গড়ার পরে হরভজন এবং শচীন বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দিয়েছিলেন।  হরভজন তো হ্যাটট্রিকও করেছিলেন সেই টেস্টে।  দুই ইনিংস মিলিয়ে হরভজন নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট।

শচীন বললেন,‘‘ওই হ্যাটট্রিকের জন্য ম্যাচের রঙ দ্রুত পাল্টে গিয়েছিল। আমরা ওই ভাবে সেই টেস্টে জেতার পরে ভারতীয় দলের একটা নতুন পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভাজ্জি অসাধারণ বোলিং করেছিল। রিকি পন্টিংকে আউট করেছিল, ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে এনেছিল লক্ষ্মণ আর দ্রাবিড়ের জুটি।’’

হরভজনও যেন পুরনো দিনে ফিরে যাচ্ছিলেন শুক্রবার ইডেনের পরিবেশ দেখে।  তিনি বলেন,“ এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন ১৫ বছর আগের দিনগুলোয় ফিরে গিয়েছি। তখন টেস্ট ক্রিকেট অন্য ব্যাপার ছিল। বিশেষ একটা অনুভূতি হতো টেস্ট খেলতে নামলে।  যত বারই ইডেনে আসি, এখানকার মানুষের ভালোবাসা অনুভব করতে পারি।  সৌরভকে ধন্যবাদ এ সব আয়োজন করার জন্য।  একশো জন অধিনায়কের অধীনে খেললেও আমার আধিনায়ক সব সময়ই সৌরভই থাকবে।’’

এই আলোচনাতেই উঠে এল শচীন কীভাবে প্রথম শোনেন হরভজনের নাম, সেই প্রসঙ্গও, “প্রথম বার আমার ভাজ্জির সঙ্গে আলাপ হয় মোহালিতে। ওখানেই ওর কথা শুনি। সকলে বলাবলি করছিল ভাজ্জি খুব ভাল স্পিনার, দারুণ দুসরা করতে পারে।”

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এএস