ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাক-ঢোল আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয় তার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মঙ্গলধ্বনি ঢাক-ঢোল আর শাখা সানাইয়ের বাদ্যযন্ত্রের বাজনায় উল্লসিত হয়ে উঠে সৌম্যর সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়ার লাল সবুজ বাড়িটি।
এদিকে, সৌম্য সরকারের গায়ে হলুদ মাখিয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন বাবা-মা,ভাই-ভাবীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। এই একই হলুদ নিয়ে কনে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার খুলনার বাড়িতে যাবেন স্বজনরা। সেই হলুদেই গায়ে মাখানো হবে কনে পূজাকে। আবির রাঙা বাসন্তী বিকালে বর সাজে সৌম্য সরকার রওনা হবেন খুলনা ক্লাবের উদ্দেশ্যে। গোধূলি লগ্নে সেখানে তারা বাধা পড়বেন সাতপাকে।
আর শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিবাহ পরবর্তী বৌভাত ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেনে। পাত্রী আগে থেকেই চেনা-জানা। দুই পরিবারের সম্মতিতে সংসার জীবন শুরু করছে সৌম্য ও পূজা। সৌম্যর স্বপ্নের রানীর বাড়ি পিরোজপুরে। তাদের খুলনায় বসবাস। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। নাম তার প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজা।
আর বিয়ে উপলক্ষে বিসিবি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন সৌম্য। যে কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের টেস্ট ম্যাচ (২২-২৬ ফেব্রুয়ারি) মিস করবেন তিনি। সৌম্য সরকার বলেন, আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। উপযুক্ত সময়ে লগ্ন খুঁজছিলাম। অবশেষে সেটি পেয়ে যাওয়ায় বিয়ে করছি ২৬ ফেব্রুয়ারি। ফলে টেস্ট ম্যাচ খেলা হলো না। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য প্রস্তুত থাকব। সুযোগ পেলে অবশ্যই খেলব।
এদিকে, পাকিস্তানের সফর শেষে দেশে ফিরে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারবিয়ের কেনাকাটায় লেগে পড়েছেন। সময়টা বেশ ব্যস্তই কাটছে সৌম্য ও তার পরিবারের। গত শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকায় নিজের বাড়িতে সম্পন্ন হয় তার আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয় পারিবারিক মাঙ্গলিক ও ঐতিহ্যের নিদর্শন হরিণের চমড়ার ওপরই। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
সেই বিতর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার বাবা। সৌম্যর বাবা সাবেক শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এটি মূলত পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন। চামড়াটি মূলত প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং বহু পুরানো। যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা বংশানুক্রমে পাওয়া।
তিনি আরো বলেন, আন্দাজ করা হয়, হরিণের চামড়ার ওই আসনটি কমপক্ষে দু'শত বছর আগের। পরিবারের যাবতীয় মাঙ্গলিক কর্ম যুগ যুগ ধরে এ আসনে বসেই হয়ে আসছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ