শেখ জামালকে হারিয়ে সুপার লিগে রূপগঞ্জ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৪, ২০১৬, ০৭:৩১ পিএম

নাহিদুল ইসলামের অনবদ্য ৯২ রানের ওপর ভর করে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয়ের ধারায় ফিরেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। শনিবার সাভারের বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত খেলায় তারা ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। এই জয়ের ফলে দশ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে রূপগঞ্জ।

মুরাদ খান ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। জবাবে ৩২.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় রূপগঞ্জ। উভয় দলের এদিন ছিল লিগের দশম ম্যাচ। দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের পর দশ খেলা থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে নাম লেখাল লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। অপর দিকে সমান সংখ্যক খেলা থেকে ১০ পয়েন্ট পাওয়ায় আর শেষ ছয়ে খেলা হলো না শেখ জামালের। কারণ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ জিতলেও তাদের হবে ১২ পয়েন্ট।

এর আগে শনিবার সকালে রূপগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আসিফ আহমেদ রাতুল টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। এক ম্যাচ নিষিদ্ধের কারণে রূপগঞ্জের নিয়মিত অধিনায়ক এদিন খেলতে পারেননি। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে মুরাদ খানের মায়াবী স্পিনের ফাঁদে পড়ে উইকেট হারাতে থাকে শেখ জামাল। মুরাদের দেখানো পথে পরে ধ্বংসযজ্ঞে একে একে মেতে ওঠেন আলাউদ্দিন বাবু, তাইজুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামালের দলীয় ইনিংস।

শেখ জামালের পক্ষে নাজমুস সাদাত সর্বোচ্চ ৪১ রান ও দলনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৫ রান করেন। এছাড়া ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট খেকে আসে ২৪ রান, সোহাগ গাজী ৩১ রান ও মুক্তার আলী ১৯ রান করেন। রূপগঞ্জের মুরাদ খান ও তাইজুল ইসলাম ৩টি করে উইকেট পান। এছাড়া আবু হায়দার রনি ও আলাউদ্দিন বাবু পান ২টি করে উইকেট।

১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ সতর্কতার সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করলেও ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন জহুরুল ইসলাম অমি। তবে দলের অপর ওপেনার সৌম্য সরকারকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন নাহিদুল ইসলাম। যদিও সৌম্য ২৯ রানে আউট হয়ে গেলেও প্রথমে ফিফটি তুলে নেন নাহিদুল। পরে জুনায়েদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দলকে জয়ের প্রায় কাছকাছি স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র আট রান দূরে থাকতে ৯২ রানে আউট হয়ে যান নাহিদুল।

শেষ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আসিফ আহমেদকে নিয়ে জয়ের কাজটুকু সম্পন্ন করেন জুনায়েদ। আসিফ ৭ রানে আর জুনায়েদ ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। শেষ জামালের মাসুদ রানা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আব্দুর রহমান ১টি করে উইকেট পান। অনবদ্য ৯২ রানের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন রূপগঞ্জের নাহিদুল ইসলাম।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই