দাদির কথা না শুনে এমা রাদুকানুর ইতিহাস

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০৯:০৬ পিএম

ঢাকা: এমাকে নিয়ে যেন ভাবনার শেষ নেই দাদির। উইম্বলডনের শেষ ষোলোর ম্যাচে দ্বিতীয় সেটের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এমা। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ান আইলা তমলিয়ানোভিচের বিপক্ষে ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হয়েছিলেন এমা। 

এরপরই এমার দাদি নিকুলিনা রাদুকানু তাকে টেনিস থেকে অবসর নিতে বলেছিলেন। দাদির পরামর্শ গায়ে মাখেননি তিনি।  এরপর তো ইতিহাসই গড়ে ফেললেন।

সূত্রে জানা যায়, নাতনির তারকাখ্যাতি, যশের চেয়ে স্বাস্থ্য নিয়েই বেশি ভাবনা ৮৮ বছর বয়সী নিকুলিনার, ‘ধনসম্পদ বা খ্যাতির চেয়ে স্বাস্থ্যটাই বেশি জরুরি।’

একে তো বৃষ্টির মধ্যে খেলা হচ্ছিল, এর ওপর শ্বাসকষ্ট উঠেছিল এমার। উদ্বিগ্ন দাদি সেদিনের কথা মনে করে বলছিলেন, ‘ওই দিন বৃষ্টি হচ্ছিল বলে ছাদ ঢাকা কোর্টে খেলতে হয়েছে ওকে। ও ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিল না।’

এমার খেলা থাকলে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় থাকেন দাদি। চাপ নিতে পারেন না বলে এবার ইউএস ওপেনের ফাইনালটাও দেখেননি নিকুলিনা, ‘যে রাতে ও ইউএস ওপেন জিতল, আমি খেলাই দেখিনি। কারণ, আমি ওই চাপটা নিতে পারতাম না। আমি নিজেকেই বলেছিলাম এই ম্যাচটা ওর জন্য অন্যতম কঠিন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’

পরদিনের পত্রিকা পড়ে নাতনির জয়ের সংবাদটা জেনেছিলেন নিকুলিনা, ‘আমি পরের দিন পত্রিকায় খবরটা পড়েছি। এই ভেবে খুশি হয়েছিলাম ও খুব শক্ত ছিল ম্যাচে। ওর স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। বিশেষ করে শেষবার উইম্বলডনের ঘটনার পর ও মানসিকভাবে শক্ত হয়ে গেছে।’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ইউএস ওপেনের নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এমা রাদুকানু। একটা গ্র্যান্ড স্লাম জিতেই এরই মধ্যে অনেক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন এমা। বাছাইপর্ব পেরিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম খেলতে এসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রথম খেলোয়াড় তিনি। প্রথম ব্রিটিশ নারী খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৭৭ সালের পর জিতেছেন গ্র্যান্ড স্লাম। 

সোনালীনিউজ/এআর