‘টেস্ট ক্রিকেট বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং’

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০১৭, ০৪:৪৭ পিএম

ঢাকা: সব ক্রিকেটারের আজীবনের লালিত বাসনা টেস্ট খেলা। তিনিও সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সাদা পোশাকেও অভিষেক হয়ে গেলো টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টেস্ট ক্যাপ পড়েছেন তিনি। এখন নিজেকে প্রমাণ করার পালা। আর প্রমাণ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন ‘টেস্ট ক্রিকেট বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং’।

এতদিন টিভিতে টেস্ট খেলা দেখে আসলেও এবারই সাদা পোশাকে কঠিন পরীক্ষায় নামতে হয়েছে তাসকিনকে। টিভিতে টেস্ট খেলা দেখা আর মাঠে খেলার মধ্যে বিস্তর ফারাক সেটিও বুঝতে পারছেন তিনি। ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই চ্যালেঞ্জের কথাই জানালেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘টিভিতে টেস্ট দেখেছি। এবার খেললাম। আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। টেস্টে বোলারদের অনেক ধৈর্য লাগে। একই জায়গায় টানা বল করে যেতে হয়। খুব চ্যালেঞ্জের। এটা আমার প্রথম টেস্ট। ভুলগুলো থেকে শিখে সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো।’

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫৯৫ রানের পাহাড় গড়েছিলো বাংলাদেশ। অবশ্য স্বাগতিক দলও জবাব ভালোই দিয়েছে। অলআউট হওয়ার আগে ৫৩৯ রান সংগ্রহ করেছে তারা। মূলত টাইগার বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ের কারণেই তারা এই সংগ্রহে পৌঁছুতে পেরেছে। আর তাসকিন ২৯ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ১৪১ এবং নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট।

এমন পারফর্মেন্সের পরও অবশ্য দমে যাচ্ছেন না টাইগার এই পেস তারকা। বরঞ্চ সাদা পোশাকে অভিষেক ম্যাচটি ভালোই উপভোগ করছেন তিনি। তাসকিন বলেন, ‘বুঝতে পেরেছি, টেস্ট ক্রিকেট বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমি অবশ্য উপভোগই করেছি। যদিও লম্বা সময় মাঠে থাকাটা বেশ কঠিন। শরীরে চাপ পড়ে। দীর্ঘ সময় ফিল্ডিং করে ২৯ ওভার বল করেছি; একটু কষ্ট হলেও উপভোগ করেছি। দেশের হয়ে টেস্ট খেলতে পারাটা তো অনেক বড় পাওয়া। আমরা ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারলে এখন সবচেয়ে ভালো হবে।

২০১৪ সালের ১৭ জুন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে তাসকিন আহমেদের। এখন পর্যন্ত ২৩ ওয়ানডে খেলে ৩৫টি উইকেট দখল করেছেন তিনি। ফিটনেসের অভাবে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁকে এতদিন বিবেচনায় রাখে নি নির্বাচকেরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই