কোহলির বদলে যাওয়ার পেছনে ইংল্যান্ড

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৭, ০৫:৩৬ পিএম

ঢাকা: কি টেস্ট, কি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি। সব ফরম্যাটে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। অথচ দুই বছর আগেও ইংল্যান্ডে গিয়ে একটিও ফিফটি করতে পারেননি ভারতের নতুন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তাহলে কি এমন টোটকায় বদলে গেল বিরাট কোহলি? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই।

সেই প্রশ্ন নিজেই খোলাসা করেছেন কোহলি। তার বদলে যাওয়ার পেছনে নাকি ইংল্যান্ডে ব্যর্থ হওয়ার শিক্ষাটাই বেশি কাজে দিয়েছে,‘ ইংল্যান্ডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই প্রচুর চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। আমাকে রান করতেই হবে, এমন চাপ।  জানি না কেন উপমহাদেশের খেলোয়াড়দের সামনে একটা মাপকাঠি দেওয়া হয় যে, তুমি অমুক দেশে যদি সফল হও তাহলে মানব যে তুমি ভালো ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডে তাই রান করতে মরিয়া ছিলাম। কিন্তু শুরুটা ভালো না হলে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়াটাও শুরু হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।’

ইংল্যান্ড সিরিজের ওই ব্যর্থতার পরপরই নিজেকে বদলাতে থাকেন কোহলি। পাল্টে ফেলেন ব্যাটিং স্ট্যান্সও। কোহলি বলেন,‘ আগে আমি মিডল ষ্ট্যাম্প বরাবর দাঁড়াতাম। আমার স্ট্যান্সটাও ছিল ক্লোজড। তারপর আবিষ্কার করলাম ব্যাট করার সময় আমার পায়ের পাতা পয়েন্টের দিকে থাকছে না বরং কভার পয়েন্টের দিকে চলে যাচ্ছে।  শুরুতেই আমার কোমর ঘুরে যাচ্ছিল। আমার গ্রিপটাও ছিল ‘বটম হ্যান্ড’ মানে নিচের হাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। বলের লাইনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। বল সুইং করলে সামলানোর মত সময়ও থাকত না।’

কোহলির এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে একটা টোটকা বাতলে দিয়েছিলেন শচীন টেন্ডলকারও। তিনি বলেন,‘ শচীন বলেছিলেন, স্পিনারের মত পেসারকেও ফ্রন্টফুটে খেলতে হবে। পেস বা সুইংয়ের কথা না ভেবে টপ অব দ্য বল যেতে হবে। যাতে বল মুভ করার সময় কম পায়। এখন এটাই আমার ব্যাটিংয়ের দুই নম্বর অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই/আরআইবি