ফুটবলের কোচ আসবে কবে?

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ০৮:০২ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশের ফুটবলের মান এখন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কেউ কেউ বলছেন বাংলাদেশের ফুটবল নাকি এখন সৎকারের অপেক্ষায়। অথচ এক সময় ফুটবল ছিল বাঙালির জীবনের বড় বিনোদন। সত্তর-আশি-নব্বই দশকে ঢাকার ফুটবল মানে উত্তেজনা, উন্মাদনায় ঠাসা নানা উপাখ্যান। ফুটবলাররা তখন ছিল রূপকথার নায়কের মতো। তাঁদের এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকত হাজার হাজার কৌতূহলী চোখ! সেসব আজ ইতিহাস। দেশের মানুষ আজো ফুটবলের প্রতি সমান আগ্রহ পোষণ করলেও এ খেলা যেন এদেশ থেকে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু কেন?

অযোগ্যতা, অদক্ষতা, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণের অভাবেই এই দশা হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলের। সারা বছর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, নেই খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ। শুধু লম্বা লম্বা বক্তব্য দিয়েই খালাস দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উর্ধতন কর্মকর্তারা। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের কোচ নেই। কিন্তু হবে, হচ্ছে, আসছেতেই আটকে আছে বিষয়টি।

গত বছর ভুটানের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর দেশের ফুটবলে নেমে এসেছে অন্ধকারের অমানিশা। আগামী তিন বছর নেই ফিফা ও এফসির কোন ম্যাচ। দলের এমন ব্যর্থতার পর জাতীয় দলের কোচ নিয়েও বাফুফের কোন আগ্রহ নেই। অথচ চলতি বছরেই মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবল। সোমবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা। সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে উঠে আসে জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গ। সভা শেষে বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানান, আগামী দশ দিনের মধ্যে (২৭ এপ্রিল) জাতীয় দলের জন্য প্রধান কোচ নিয়োগ দেবে বাফুফে। এশিয়ার দলগুলোকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, এমন কাউকে কোচ হিসেবে নেয়ার চিন্তা আছে।

অবশ্য গত ১৬ মার্চ বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছিলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় দলের নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়ে জানানো হবে। একাধিক জনের বায়োডাটা যাচাই-বাছাই চলছে।’ তবে সেই এক সপ্তাহ আজও শেষ হয়নি। এবার সেটা বাড়িয়ে ১০ দিন করে নিলেন কাজী নাবিল। তবে এই দশ দিন কবে শেষ হবে তা সময়ই বলে দেবে।
 
সর্ব শেষ ভুটানের বিপক্ষে খেলা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিট। কিন্তু লজ্জার হারের পর তাকে বিদায় করে দেয়া হয়। এরপর কোচ শূণ্য জাতীয় দল। যদিও ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে ফিফার সদস্যভুক্ত কোন একটি দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বাফুফে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই