৩৪১ রান করেও হারলো বাংলাদেশ!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৭, ১২:৩২ পিএম

ঢাকা: এজবাস্টনে বাংলাদেশ প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দেশবাসিকে হতাশই করেছে। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয় মুখ্য নয়। তারপরও ৩৪১ রান তুলে হারের স্বাদ পাওয়া মেনে নেওয়াটা কষ্টকর। এই কষ্টটা বোধহয় সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তাঁর ৮৮ বলে সেঞ্চুরিটা যে শেষ অবধি বৃথা গেছে। উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের নয় নম্বর ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিং। মুলত তাঁর ৩০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসের কাছে ২ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে জেতার জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩ রান। হাতে ২ উইকেট। মাশরাফির করা প্রথম বলকেই ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন ফাহিম। পরের বলে দৌড়ে ৩ রান নেন। তৃতীয় বলে চার মেরে খেলা শেষ করেন হাসান আলী। নবম উইকেটে এই দুজন মিলে তুলেছেন ৪২ বলে ৯৩ রান। অথচ ১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে হাঁসফাঁস করছিল পাকিস্তান।মাঝে তাদের পাকিস্তানকে ম্যাচে রেখেছিলেন শোয়েব মালিক ৬৬ বলে ৭২ রান করে। পাশাপাশি মোহাম্মদ হাফিজ ৪৯ ও ইমাদ ওয়াসিম ৪৫ রান করেন।

ম্যাচ যত শেষের দিকে গিয়েছে তত পাকিস্তানের দিকে হেলে পড়েছে। ৪৪ ওভার শেষেও পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮৮ রান ৩৬ বল থেকে। হাতে ছিল শেষের ২ উইকেট। এই অবস্থা থেকে কেউ বোধহয় পরাজয়ের কথা ভাবেননি। কিন্তু ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চতার খেলা, সেটা ফের প্রমাণ হলো। ৩০ বলে চার ছক্কা-বাউন্ডারিতে ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ফাহিম।তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন হাসান আলী ১৫ বলে ২৭ রান করে। ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব, মোসাদ্দেক, মাশরাফি, শফিউল ও তাসকিন।

এরআগে টস জিতেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাই। প্রথমে তিনি ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন। ২৭ রানে সৌম্য সরকারকে (১৯) হারায় বাংলাদেশ। এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ১৪২ রান।

দলীয় ১৬৯ রানে সাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ইমরুল। অবশ্য তিনি তার আগেই তুলে নেন ফিফটি। ৬২ বলে আট চারের সাহায্যে খেলে ৬১ রানের ইনিংস। ইমরুল আউট হলেও তামিম তামিমের মতো খেলতে থাকেন। ইদানিং বদলে গেছেন দেশসেরা ওপেনার।উইকেটে থেকে রান করাতেই তিনি এখন স্বচ্ছন্দবোধ করেন। এদিনও তাই করলেন ফিফটির পর আউট হওয়া নয় বরং সেটি তিন অঙ্কে নিয়ে গেলেন।২১৯ রানের মাথায় সাদাবের বলে জুনায়েদের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তামিম করেন ১০২ রান। এই রান তিনি করেছেন ৯৩ বলে নয়টি বাউন্ডারি আর চার ছক্কায়।

মুশফিকুর রহীম ৪৬ রান করে ফিরে গেছেন। রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। আউট হয়ে গেছেন ২৩ রান করে।ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর ফর্ম নিয়েই একটু দুশ্চিন্তায় টিম ম্যানেজম্যান্ট।সাকিব বড় ম্যাচের খেলোয়াড় যে কোনো সময়ই নিজেকে আবিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের দারুন ব্যাটিং করা মাহমুদুল্লাহ ২৪ বলে ২৯।

শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১৫ বলে ২৬ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ১৩ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তোলে ৩৪১ রান। ৭৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন জুনায়েদ খান। জোড়া উইকেট শিকার করেছেন হাসান আলী ও সাদাব খান।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই