জানেন প্রতি সেকেন্ডে নেইমারের বেতন কত?

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৭, ০৫:২৭ পিএম

ঢাকা: ব্রাজিলিয়ান সুপারষ্টার নেইমারকে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে। অবসান হয়েছে নেইমারভক্তদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার। কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। আগামী শনিবার (১২ আগস্ট) নতুন জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে ব্রাজিলে ‘নতুন পেলে’ খেতাব পাওয়া ফুটবলারের। নেইমারকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। এই মুহুর্তে তারা জানতে চান এই মহাতারকার বেতন কত?

প্রথম যখন নেইমার সান্তোসের সাথে চুক্তি করেন তখন তার বেতন ছিল প্রতি বছরে ১.২ মিলিয়ন ডলার, যেটা ব্রাজিলিয়ান লিগে ১৭ বছরের এক তরুণের জন্য বিশাল অঙ্ক। অনেক বিশেষজ্ঞই তার বেতনকে তার উন্নতির অন্তরায় হতে পারে বললেও, উত্তরোত্তর তার উন্নতি ঘটেছেই। আস্তে আস্তে তার পেছনে যখন গোটা ইউরোপ ছুটেছে, তখন সান্তোস তার বেতন ৩ গুণ করে নতুন চুক্তি করতে বললে, সে তা প্রত্যাখ্যান করে। বলে রাখা ভালো, যে খেলোয়াড়ের চুক্তির মেয়াদ যত বেশি, তাকে কিনতে টাকা তত বেশি লাগে। তাই নেইমারকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেয়ার অর্থ ছিল, তাকে বিক্রির সময় অধিক টাকা পাওয়া!

এর কিছুদিন পর চেলসি তাকে পেতে সেই সময়কার বেতনের ৪ গুণ দিতে চাইলো। কিন্তু সে প্রস্তাবও নেইমার ফিরিয়ে দেন, তখন তার ইচ্ছে লা লিগায় যাওয়া। কিন্তু ঘরে-বাইরে বিভিন্ন চাপের মুখে সান্তোসে তিনি নতুন করে ৫ বছরের চুক্তি করেন। সেখানে তার বেতন ছিল ৪ মিলিয়ন ডলার প্রতি বছরে, যেটা সদ্য ১৮ পেরোনো ব্রাজিলিয়ান ঘরোয়া লিগের একজন খেলোয়াড়ের জন্য অচিন্ত্যনীয় পরিমাণ আয়। এরপর যখন প্রথম বার্সায় যোগ দেন তিনি, তখন তার বেতন ছিল বছরে ৯.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। এরপর ২০১৬ সালের দিকে তাকে কিনতে পিএসজি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্রমাগত চেষ্টার ফলে বার্সাও সচেষ্ট হয়ে ওঠে তাকে রেখে দিতে। আবার পাঁচ বছরের চুক্তি হয় তার সাথে। বেতন বাড়িয়ে করা হয় ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড। বাইআউট ক্লজ ১৮০ মিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২২২ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।

সেই ২২২ মিলিয়ন পাউন্ডেই তাকে কিনে নিল পিএসজি। আর বেতন? বছরে প্রায় ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড। সেভাবে হিসেব করলে সেকেন্ডে .৮৮ পাউন্ড, মিনিটে প্রায় ৫৩ পাউন্ড, ঘন্টায় প্রায় ৩,১৯৮ পাউন্ড আর দিনে ৭৬,৮০০ পাউন্ড!

২০১৩ সালেই ইউরোস্পোর্টস তাকে বিশ্বের ‘Most Marketable Athlete’ মনোনীত করে, তার পরেরবারও আবার তিনি একই ক্যাটাগরিতে মনোনীত হন। ২০১১ সালে সান্তোসে থাকাকালীনই নাইকির সাথে তার ১১ বছরের চুক্তি হয় বছরে ১ মিলিয়ন ডলারে, তখন তার বয়স কেবল ১৯ বছর। ইউরোপে আসার পর নাইকি তা বাড়িয়ে ১০ মিলিয়নে উন্নীত করে, যেটা নাদাল বা শারাপোভাদের চেয়েও বেশি। ২০১৬ সালের ৭ তারিখে বিখ্যাত Forbes ম্যাগাজিন এক আর্টিকেল প্রকাশ করে যে, নেইমার সেই সময়টিতে রোনালদোর চেয়েও বেশী বিপননযোগ্য ক্রীড়াবিদ ছিলেন! ২০১৩ সালে সান্তোসের জার্সি গায়েই নেইমার বিখ্যাত গেমস পেস-এর কভারে স্থান পান। এরপর আরো কয়েকবার বিভিন্ন গেমের কভারে তার ছবি ব্যবহৃত হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই