এশিয়া কাপ হকির আনুষ্ঠানিকতা শুরু

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৭, ০৮:৩০ পিএম

ঢাকা: ৩২ বছর পর আবারও ঢাকায় ফিরছে এশিয়া কাপ হকি। আগামী ১১ অক্টোবর মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের দশম আসর। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি সফল করতে এরইমধ্যে হকি ফেডারেশনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এখন শুধু ক্ষণ গণনার পালা। সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিকতা।

এশিয়ান হকি ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এবং পৃষ্ঠপোষক হিরো মটোকর্পের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতো তৈয়ব ইকরাম, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু ইশরার এবং হিরো মটোকর্পের প্রতিনিধি জে. নারায়ন টুর্নামেন্টের বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক।

সংবাদ সম্মেলনে দাতো তৈয়ব ইকরাম বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে হাই পারফরম্যান্স কর্মসূচিতে সহযোগিতা করব। যুব উন্নয়ন কর্মসূচি রয়েছে আমাদের। এশিয়ান হকি ফেডারেশন বাংলাদেশকে ক্রীড়াসামগ্রী দেবে। এরই মধ্যে চলতি বছরের সামগ্রী পেয়ে গেছে। স্কুল হকির উন্নতির জন্যও সহযোগিতা দেয়া হবে। আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কোচ ও আম্পয়ারদের কোচিং কোর্স করানো হবে।’

এশিয়া কাপ প্রসঙ্গে এশিয়ান হকির শীর্ষস্থানীয় এ কর্মকর্তা বলেন, যে কোনো ভালো কিছু করতে হলে যৌথ সহযোগিতা প্রয়োজন। এটাও তেমন একটি ব্যাপার। টুর্নামেন্ট সফল হলে বেশি লাভবান হবেন খেলোয়াড়রা। আশা করি বাংলাদেশ এখানে ভালো রেজাল্ট করবে। প্রস্তুতি ভালভাবেই চলছে। প্রস্তুতি দেখে আমরা খুব খুশি।’

এশিয়া কাপ হকির মাধ্যমে মওলনা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামের জন্য আন্তর্জাতিক দরজাও খুলে যাবে বলে জানান দাতো তৈয়ব ইকরাম। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসছে। আশা করছি ১০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক আলো জ্বলবে। এশিয়া কাপের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ ভেন্যু দেখিয়ে ভারত-পাকিস্তান হকি টুর্নামেন্ট করার। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের আরও নতুন নতুন টুর্নামেন্ট যাতে ঢাকায় আয়োজন করতে পারে, সে চেষ্টাও থাকবে।’

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু ইশরার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি যে, দীর্ঘ সময় পর আমরা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশা করছি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ টুর্নামেন্টে ভালোভাবে আয়োজন করতে পারবো। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আমরা স্টেডিয়াম ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ আরো অনেক কাজ করছি।’

স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী অপর দলগুলো হল ভারত, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ওমান।

উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ হকির যাত্রা শুরু ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে। দ্বিতীয় আসর বসেছিল ঢাকায় ১৯৮৫ সালে। সর্বশেষ সাতবারের চারবারই হয়েছে মালয়েশিয়ায়। দু’বার ভারতে (নয়াদিল্লি ও চেন্নাই) এবং একবার জাপানের হিরোশিমায়। আগের নয় আসরের পাঁচটিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় গত আসরে আট দলের মধ্যে অষ্টম হয় জিমি-বাহিনী। ৩২ বছর পর ফের এমন বড় আসর আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই