পাঁচ বছর নিষিদ্ধ খালিদ লতিফ

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭, ০৪:১৭ পিএম

ঢাকা: ক্রিকেটে ফিক্সিং শব্দটি ব্যবহৃত হয় পাতানো অর্থে। অবৈধ অর্থের বিনিময়ে কোনো দল, খেলোয়াড় অথবা টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়মবহির্ভূত নির্দিষ্ট কিছু করতে রাজি হন। তখনই সেটা হয় ম্যাচ ফিক্সিং। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। সর্বশেষ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন খালিদ লতিফ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ রায় দেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল।

২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ম্যাচে খালিদ লতিফের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ইচ্ছে করে খারাপ খেলার অভিযোগ ছিলো। যেই অভিযোগ সত্যি বলে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে অ্যান্টি কোরাপশন ট্রাইবুন্যাল। তারই প্রেক্ষিতে শাস্তি দেয়া হয় লতিফকে।

৩১ বছর বয়সী খালিদ লতিফের পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় ২০০৮ সালে। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চেপে ৫ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে ১ অর্ধশতকে করেছেন ১৪৭ রান। সমান ১ অর্ধশতকে টি-টোয়েন্টিতে খালিদ লতিফের রান ২৩৭। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

চলতি বছর পাকিস্তান সুপার লীগের দ্বিতীয় আসরে দুুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। শুরুর দিকে পাকিস্তান ক্রিকেট লিগে (পিসিএল) মোহাম্মদ ইরফান, শাহজিব হাসান ও শারজিল খানকে ফিক্সিংয়ের জন্য প্ররোচিত করেছিলেন খালদ। এই ঘটনায ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে অন্যতম হোতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।  

পিসিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে প্রথম শারজিল খান গত মাসে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। আরেক ক্রিকেটার নাসির জামসেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে এখনো শুনানি শুরু হয়নি। নাসির জামসেদকে এই কাজে প্রধান হোতা মনে করা হয়।

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বারবার স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় বিব্রত গোটা দেশ। এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। আমির এখনো পাকিস্তান দলে ফিরে এলেও আসিফ ও বাটের ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই