ঢাকা: তার খেলা দেখলে মনে হবে ফুটবল ছাড়া আর কিছুই জানেন না, চেনেন না, বোঝেন না। অথচ মাঠের বাইরের একেবারেই বিপরীত চরিত্রের। মাঠের ভিতর যতটাই জয়ের নেশা, বাইরে একেবারেই উল্টো। বলছি জার্মানির কিংবদন্তি গোলকিপার অলিভার কানের কথা।
যতদিন জার্মান ফুটবল থাকবে, ততদিন থাকবে অলিভার কানের নাম। খেলার মাঠে প্রকাণ্ড শরীরের অলিভার কান ছিলেন দৃঢ়চেতা। কিন্তু এই জার্মান গোলকিপার নাকি একটা সময় সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড ছাড়া রাতে ঘুমতে পারতেন না। নিয়মিত যৌনতা নেশায় পরিণত করে ছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে অলিভার কানের যৌনকীর্তি প্রকাশ্যে চলে আসে। ২১ বছর বয়সী গার্লফ্রেন্ড ভেরেনা কেরাথের সঙ্গে নিয়মিত নিশিযাপন করতেন জার্মান গোলকিপার। যৌন পিপাসু অলিভার কান এবং তাঁর বান্ধবী রাতের পর রাত উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হতেন। যা কানের সতীর্থ ফুটবলাররা অনেকেই জানতেন। টিম হোটেলের ঘরেও রাতভর চলত দু-জনের যৌনলীলা।
জার্মান সংবাদমাধ্যম প্রমাণের অভাবে কোনওভাবেই খবর প্রকাশ্যে আনতে পারছিল না। অবশেষে ভেরেনা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়ায় কানের কীর্তিকলাপ প্রকাশ্যে চলে আসে। কিন্তু অলিভার কানের যৌন পিপাসা তাতেও মেটেনি। আরও অনেকের সঙ্গে সেক্সের জোয়ারে ভেসে গিয়েছেন জার্মান লিভিং লেজেন্ড অফ ফুটবল অলিভার কান।
প্রসঙ্গত, ফুটবলারদের যৌনকীর্তি নতুন কিছু নয়। ফুটবল আর যৌনতা যেন সেলিব্রিটিদের খেলোয়াড়দের জীবনে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রয়েছে। পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, যে প্লেয়ার যত বড়, তাঁর যৌন কার্যকলাপ ততটাই বেশি। ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে যেন পরিপূরক হয়ে গিয়েছে ফুটবলারদের যৌনলালসা। যুগযুগান্তর ধরে এমনটাই চলে আসছে।
১৯৫৯ সালে গ্যারিঞ্চা, ১৯৭৭-এ টমি দোচার্টি, দিয়েগো মারাদোনা কিংবা হালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বিখ্যাতদের নামের পাশে সেক্স স্ক্যান্ডাল জ্বলজ্বল করছে। তাঁদের ফুটবল কীর্তির মতোই যৌনকীর্তিও বিশ্বের বাজারে সমান কদর পাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক।
৯০ মিনিট বলে লাথি মারার জন্য এক এক জন ফুটবলার কয়েকশো কোটি টাকা কামান। এবং আয়ের অনেকটাই লাগিয়ে দেন সুন্দরী, লাস্যময়ী মডেল কিংবা অভিনেত্রীদের পিছনে। যৌনকীর্তি ছাড়া ফুটবলে মহাতারকা হয়ে ওঠা যেন পূর্ণতা পায় না এদের কাছে। কেউ কেউ তো যৌনতায় মদনদেবকেও হার মানিয়েছেন!
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই