মোস্তাফিজ-রুবেলের এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য কী?

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৮, ১০:০৫ এএম

ঢাকা: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭০ রানে বাংলাদেশের ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এখান থেকে রানটা কতদূরই বা যেতে পারে। কেউ কেউ দুই শ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করেছিলেন। এমনটা মনে করা অস্বাভাবিকও নয়। কারণ তখন উইকেটে যে একেবারে শেষের ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন। 

অতীতে দেখা গেছে, রুবেল হোসেন ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে কাঁপতেন। মোস্তাফিজুর রহমানেরও ঠিকঠাক টাইমিং হতো না। অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে সানজামুল ইসলামের দু-একটা ভাল ইনিংস ছিল। তাকে সমর্থন করতে পারবেন তো রুবেল-মোস্তাফিজরা?

কি আশ্চর্য এদিন যেন মোস্তাফিজ-রুবেলরা পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান বনে গেলেন। পাকা ব্যাটসম্যানের মতোই ২২ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন কাটার মাষ্টার। এর মধ্যে বাউন্ডারি মেরেছেন দুটি। তার আগে সানজামুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান। ২৪ বলে খেলা তার এই ইনিংসে ছিল তিনটি চার। রুবেল ৪ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। একটি ছক্কাও মেরেছেন।

রুবেলের এই ছক্কা দেখে মুগ্ধ তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে তিনি রসিকতা করে বললেন, ছক্কার চেয়ে ফলো থ্রুটা ভালো লেগেছে। এই গল্প যে ওর কত বছর চলবে...অসাধারণ।’

১৭০ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর সানজামুল, মোস্তাফিজ ও রুবেল যোগ করেছেন ৪৬ রান। তাতেই বাংলাদেশের স্কোর দুই শ পার হয়েছে। যে কাজটা করার কথা ছিল মিডল অর্ডার বা লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। একেবারের নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের এমন দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং শেষ কবে দেখা গেছে জানতে পরিসংখ্যানের সাহায্য নিতে হবে। 

তামিম কিন্তু নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যাটিংয়ে মোটেও অবাক নন। তিনি বলে গেলেন, ‘তাদের কথা আপনাকে বলতেই হবে। এখানে টিম ম্যানেজম্যান্টের কথাও বলতে হবে। গত এক-দেড় মাসে টিম ম্যানেজম্যান্ট তাদের যেভাবে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দিয়েছে আপনারা যারা কাছ থেকে দেখেছেন, তারা বুঝবেন। অনেক সময় নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছে ওরা। আজ ৯-১০-১১ নম্বর ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে ৫০ রান (আসলে ৪৬) এসেছে। তারাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/এআই