‘আমি কিংবা মুর্শেদী তো খেলে দিতে পারব না’

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮, ০৫:১৮ পিএম
ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: তৃতীয়বারের মত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হয়েছে বাংলাদেশ। ইতিপুর্বে দুইবার আয়োজন করে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল সবুজের জার্সিধারীরা। ২০০৩ এবং ২০০৯ সালে দুটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলেও দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হয়েছিল। ১৫ বছর পর সেই ব্যর্থতা ঘোচানোর সুযোগ এসেছে স্বাগতিকদের সামনে।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের প্রেরণা এশিয়ান গেমসে জামাল-সুফিলদের সেরা সাফল্য। আগামী বিশ্বকাপের অায়োজক কাতারকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা। সাফে খেলবে সেই দলটিই।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাফের শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে পাবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘সাফের জন্য যত কিছুর দরকার ছিল আমরা করেছি। আমি কিংবা মুর্শেদী তো খেলে দিতে পারব না। আমার মনে হয় এখন খেলোয়াড় এবং কোচদের কাজ করার সময়।’

সোমবার বাফুফে ভবনে সাফের স্পন্সর পরিচিত এবং লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে দলের প্রস্তুতি নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘কাতার, ইন্দোনেশিয়া এরপর নীলফামারীতে প্রতি ম্যাচ খেলেছে। দলের প্রস্তুতিতে আমি খুশি। ফুটবল দলের জন্য যা কিছু দরকার আমরা সবকিছুইু করেছি।’

কিংবদন্তি এ ফুটবলার বলেন, ‘একজন ফুটবলার এবং বাফুফে সভাপতি হিসেবে আমি প্রত্যাশা করি চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। তবে কী হবে সেটা বলতে পারব না। সব কিছু নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর।’

এদিকে সাফ ফুটবল নিয়ে এখনও পর্যন্ত খুব একটা উন্মাদনা দেখা যায়নি। টিকিটের জন্যও ভীড় দেখা যায় না। জাতীয় দলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়ে  সালাউদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় দলকে সমর্থন দিন। আশা করছি ভাল একটা রেজাল্ট পাব। এই রেজাল্ট পাওয়ার জন্য বাইরের দিক থেকেও সমর্থন প্রয়োজন।’

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সম্মানজনক ফলাফলের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলনের মধ্যে ছিল জাতীয় দল। ঘরোয়া লিগের পর ৩৫-৪০ ফুটবলারকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ক্যাম্পের আয়োজন করে বাফুফে। কাতারে গিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ফুটবলাররা। সেখান থেকে ফিরে এসে আবার দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে ক্যাম্প করে। এরপর এশিয়ান গেমস খেলতে ইন্দোনেশিয়ায় যায় জেমি ডের দল। এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়ে প্রথমবার নক আউট পর্বে ওঠে ইতিহাস গড়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে সিনিয়ররাও একসঙ্গে ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই