আফগানদের হারিয়েও লাভ নেই, হাস্যকর নিয়মে হতাশ মাশরাফি

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৯:২৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এক অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার ঘটছে চলতি এশিয়া কাপে। ভারত শুধু দুবাইয়ে খেলবে। তারা আবুধাবিতে খেলতে যাবে না। অথচ বাকি দলগুলো আবুধাবিতে খেলতে হচ্ছে। কেন ভারতকে এত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এ নিয়ে খোদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে। ভারত কী তাহলে এশিয়া কাপে অঘোষিত সম্রাটের ভুমিকা নিয়েছে!

ভারতের সুবিধার্থে অতীতেও অনেক কিছুই ছাড় দিয়েছে স্বয়ং আইসিসি। এবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) যাবতীয় সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে রোহিত শর্মাদের। শুধু তাই নয়, এতদিন জানা ছিল গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ থাকবে। কিন্তু বুধবার এসিসি জানিয়ে দিয়েছে, গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স আপ বলে কিছু নেই। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানকে হারিয়েও দেয় তারপরও বাংলাদেশ গ্রুপে বি-২ বলেই বিবেচিত হবে। আবার গ্রুপ এ-তে ভারত জিতুক বা হারুক তারা এ-১ হবে। এ নিয়ম হাস্যকর। মাশরাফি মনে করেন, এ নিয়ম দেখে পাগলও বিস্মিত হবে!

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেও মাশরাফি জানতেন না গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ বলে কিছু নেই। বাংলাদেশ অধিনায়কের ধারণা ছিল আফগানিস্তানকে হারালে তারা চ্যাম্পিয়ন হবে।

এশিয়া কাপের শুরু থেকেই সূচি নিয়ে আপত্তি ছিল দলগুলোর। প্রচণ্ড গরমে টানা খেলা। দুবাই টু আবুধাবি ভ্রমণের ধকল তো থাকছেই। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলার পরের দিনই সুপারের ফোরের ম্যাচ খেলতে নামতে হবে। প্রতিপক্ষ ভারত। এখানেই অন্যদলগুলোর চেয়ে সুবিধা নিচ্ছে রোহিত শর্মারা। তারা একই ভেন্যুতে খেলছে।

মাশরাফি ভারতকে নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও টুর্নামেন্টের নিয়ম নিয়ে হতাশ। তিনি বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,‘ আমার মনে হয় না কেউ (দল) ভালোভাবে নেবে ব্যাপারটি। এমনকি একজন পাগলও হতাশ হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের আগের দিন কখনো শুনেছেন যে আপনি গ্রুপে দ্বিতীয়? হয়তো কেউ প্রকাশ করবে না , তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়াটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়।’

মাশরাফি কেন হতাশ এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘প্রথম থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল যে, শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে হারাতে পারলে আমরা হয়তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে যাব। এরপর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে গ্রুপ ‘এ’ রানার্সআপ আপ দলের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলব সুপার ফোরে। কিন্তু আজকে সকাল থেকে জানতে পারছি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতি আর হারি, আমরা ‘বি-২’ হয়ে গেছি। এটা অবশ্যই হতাশার। কিন্তু গ্রুপ ম্যাচ বলেন বা যা-ই বলেন, একটা নিয়ম থাকে টুর্নামেন্টের। সেই নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছি আমরা। এটাই হতাশার।’

বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার চোট নিয়ে খেলছেন। তামিম ইকবাল তো ছিটকেই গিয়েছেন। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমও আছেন ঝুঁকির মধ্যে। চোট নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে মাশরাফিরও,‘ ২০ তারিখে (আগামীকাল) খেলা, সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচটাও ২১ তারিখে। যেমন ধরেন কাল যদি পরে ফিল্ডিং করি এবং এরপরের ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করি। তাহলে আমাদের ১০ ঘণ্টাও ধকল সামলে ওঠার মতো সময় পাব না। আর ঘর্মাক্ত অবস্থা থেকে পুরো সতেজ হয়ে উঠতে খেলোয়াড়দের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টাও লাগে। এটা বলব না যে অজুহাত। তারপরও ভাবছিলাম গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলে দেখা যাক কোন প্রতিপক্ষকে পাই। এই হিসাব-নিকাশের আর কোনও সুযোগ নেই। সবকিছু থেকেই খারাপ জিনিসটাই আমাদের দিকে এসেছে।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই