দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে শ্রীলঙ্কার নতুন ইতিহাস

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম

ঢাকা : শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট যে খুব ভালো অবস্থায় আছে তা কিন্তু নয়। চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভাঙাগড়া মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দলটি। লঙ্কান সিনিয়র ক্রিকেটাররা যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন। ভাঙাচোরা এক দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাথুরুসিংহে যা করে দেখালেন তা অরবিন্দ ডি সিলভা-সনাৎ জয়াসুরিয়ারা পারেননি। শুধু তারা কেন, এশিয়ার কোনো দেশই তা পারেনি।

পোর্ট এলিজাবেথে শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৮ উইকেটের পতনের পরই বোঝা গিয়েছিল নতুন ইতিহাস গড়ার খুব কাছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ৬০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে সফরকারিরা। শনিবার বাকি ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ৩০ ওভারও লাগেনি দিমুথ করুনারত্নের দলের। ওশাদা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিসের ফিফটিতে ভর করে শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটের জয় তাঁদের ক্রিকেট ইতিহাসে হিরণ্ময় সাফল্যগাথার অংশ। দুই টেস্টের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই মাটিতে তারা হোয়াইটওয়াশ করল ২-০ ব্যবধানে।

ইতিহাস বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে টেস্ট সিরিজ জিততে পেরেছে কেবল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এরপরই সেখানে নিজেদের নাম খোদাই করে রাখল শ্রীলঙ্কা। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে সবশেষ হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পুড়েছে ২০০৬ সালে। এক যুগেরও বেশি সময় পর আবার সেই লজ্জা পেল প্রোটিয়ারা।

সুরঙ্গা লাকমল (৪/৩৯) ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভারা (৩/৩৬) দ্বিতীয় দিনেই জয়ের সুবাস এনে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ২২২ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা তাঁদের প্রথম ইনিংসে আরও খারাপ করে (১৫৪)। ৬৮ রানে পিছিয়ে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বল করেন লাকমল-ডি সিলভারা। মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিক দল। এতে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৭। রানসংখ্যা দেখে ব্যাপারটি সহজ মনে হলেও আগের তিন ইনিংস দেখে যেকোনো লঙ্কান সমর্থকের মনেই খচখচানি উদ্রেক হতে পারত। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ফার্নান্দো-মেন্ডিসের অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কার তুলে নেওয়া জয় দেখে মনেই হয়নি আগের তিন ইনিংসে ব্যাট করা খুব কঠিন ছিল। দুজনই প্রায় ওয়ানডে গতিতেই রান তুলেছেন। মেন্ডিসের ৮৪ রান এসেছে মাত্র ১১০ বলে। ফার্নান্দো ১০৬ বলে তুলেছেন ৭৫ রান।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই