• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

আশুলিয়ায় ফসলি জমির মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায়


আশুলিয়া প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১, ০৯:৪০ পিএম
আশুলিয়ায় ফসলি জমির মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায়

প্রতিনিধি

আশুলিয়া : চলছে শীতের মৌসুম। এ মৌসুমেই বাড়ে মাটি খেকোদের উৎপাত৷ মাটি খেকুরা নদী এবং নদীর তীর ঘেষা ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এবারও আশুলিয়ার শিমুলিয়া  ইউনিয়নের বংশী নদীর কুল ঘেঁষা বেশ কয়েকটি স্থান থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এর ফলে একদিকে যেমন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীর ঘেষা লোকবসতি অন্যদিকে কমছে ফসলি জমি। 

সম্প্রতি আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি ও গাজীখাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এসব স্থানের ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।

রাঙ্গামাটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বংশী নদীর পাশে ফসলি জমি থেকে ৮/১০ ফুট গর্ত করে ভেকুর সাহায্যে মাটি কাটছে স্থানীয় জসিম উদ্দিন মাষ্টার নামের এক ব্যাক্তি। মাটি ট্রাকযোগে নিয়ে যাচ্ছে পাশের ক্লাস ব্রিকস এন্ড সিরামিক্স নামের একটি ইট ভাটায়। দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ট্রাক দিয়ে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়।

জসিম উদ্দিন মাষ্টার এ বিষয়ে বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি এটা অন্যায়৷ কিন্তু আমি ওই জমিতে মাছ চাষ করার জন্য খামার বানাব। তাই মাটি কেটে তা বিক্রি করছি। তিনি ৩৫০ শতাংশ জমিতে খামার করবেন তাই মাটি কাটবেন।

মাটি কাটা শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে গেলে পালিয়ে যায় ভেকুর ড্রাইভারসহ দুই একজন শ্রমিক। পরে সুদিপ নামের এক ট্রাক ড্রাইভারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বংশী নদীর কুল ঘেঁষে ১০ ফুট পরিমান গর্ত করে মাটি কাটছে স্থানীয় জসিম উদ্দিন মাষ্টার। সেই মাটিগুলো আবার পাশের চায়না ইটভাটার কাছে বিক্রি করছেন তিনি। 

তিনি বলেন, আমরা কিছু জানি না। তবে মাষ্টার যেভাবে বলছে আমরা সেভাবেই করছি। মাষ্টারের কেনা ভেকু দিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানান ড্রাইভার।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি (আশুলিয়া সার্কেল) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, সরকারি জমি, কৃষি জমি, সরকারি খাল যদি অবৈধ ভাবে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটির এলাকায় যেখানে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। 

সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় পুষ্টি উপাদান কমে গিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা শঙ্কিত, এভাবে উর্বর মাটি নষ্ট হলে কৃষির উৎপাদন ব্যাহত হবে। 

ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদফতরে সহকারী পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোঃ রাজীব বলেন, আইনে আছে যে, কোন কোন স্থান থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় দেওয়া হবে সেই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে হলফনামা দাখিল করতে হবে। তবে সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়ার বেশিরভাগ ইটভাটা হলফনামা দাখিল না করে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করছে।আমরা যেসকল স্থান থেকে এমন খবর পাচ্ছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!