• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বিষের বোতল হাতে ডিসি অফিসে, আত্মহত্যার অনুমতি চাইলেন বৃদ্ধ


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ০৬:৩৮ পিএম
বিষের বোতল হাতে ডিসি অফিসে, আত্মহত্যার অনুমতি চাইলেন বৃদ্ধ

সংগৃহীত ছবি

মেহেরপুর: জেলা প্রশাসকের কাছে আত্মহত্যার অনুমতি চাইলেন মুসা করিম নামের মেহেরপুরের এক বৃদ্ধ।  

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মুসা করিম তার নাতি আকাশকে (৮) সঙ্গে নিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। 
 
সেখানে তিনি বলেন, আমি জহর খাই ই মরবো। খুব কষ্ট কইরি ঘর কইরিলাম।৭০ বছর ধইরি সেখানে বাস কইরিচি। এখন আমার সেই ঘরে থেকে বের করে দিছে। আমার জমি আমারে ফিরিয়ে দেন, নয়তো আমাকে বিষ পানের অনুমতি দেন।

এসময় তিনি বিষপানের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত আবেদনও করেছেন। তবে জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আত্মাহত্যার পথে না গিয়ে যতদিন বেঁচে থাকবেন স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করার আহ্বান জানান।

বৃদ্ধ মুসা করিমের বাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে।

মুসা করিম বলেন, আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে লাল চান্দের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী শরীফা খাতুনের ছেলে আকাশ। শরীফাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় সে তার মা-বাবার বাড়িতে থাকে। লাল চাঁন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখন সংসার করছে।

তিনি বলেন, আমার যে জমি জায়গা ছিল সেগুলো সবার নামে সমবন্টন করে দিয়েছি। অবশিষ্ট ৪ কাঠা জমির উপর বাড়ির জায়গাটি আমার অসহায় নাতি আকাশের নামে লিখে দিয়েছি। বিষয়টি জানতে পেরে আমার বড় ছেলে লালচাঁদের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা খাতুন আমাকে ও আমার নাতি আকাশকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পরে আমি আমার ছোট ছেলে আমির হোসেনের বাড়িতে বর্তমানে রয়েছি। কিন্তু সেখানে তাদেরও সমস্যা।  

অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু কেউ আমাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি, যে কারণে বাধ্য হয়ে বিষের বোতল হাতে করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাতে এসেছি।

জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেছেন, জমি ও ঘর উনার (মুসার) নিজের। উনি যাকে ইচ্ছে দিতে পারেন। তাতে অন্যের কি বলার আছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখা হবে। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ মুসা করিম জেলা প্রশাসকের আশ্বাস পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!