• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে ধান শুকাতে ব্যস্ত বধুরা


মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি মে ৭, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
মণিরামপুরে ধান শুকাতে ব্যস্ত  বধুরা

যশোর : প্রখর রোদ উপেক্ষা করে যশোরের মণিরামপুরের বাড়ি বাড়ি বধুরা ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ধান শুদ্ধ করার পর শুকানোর পরেই তা মাড়িয়ে তৈরী হবে পরবর্তী খাওয়ার চাল। শুধু গৃহবধুরা নন কৃষাণী নন ও পরিবারের সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন।

উপজেলার চন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দেখা যায় ধান শুকানোর মহোৎসব। আকাশে মেঘ জমেছে তাই পরিবারের ছোট থেকে বয়োবৃদ্ধ সবাই মিলে ধান উঠানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদের কেউ সাপডা দিয়ে ধান এক জায়গায় করছেন, কেউ ঝাড়ু দিয়ে ধান কুড়াচ্ছেন, আবার কেউ ডালা দিয়ে ধান বস্তায় ভরছেন।

এসময় ব্যস্ত শাহিদা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, সেদ্ধ ধানে এট্টু পানি নাগলি চাল বানাতি কষ্ট হবেনে। এতে করে ওই চালের ভাত আর খাওয়া যাবেন না বাবা। এজন্যি স্কুল মাঠে ধান অ্যানে বাড়ির সবাই মিলে রোদি (রোদে) ধান শুানের কাজ করতেছি।

তার কাজে ছেলে হাবিবুর রহমান সহযোগিতা করছিলেন। শুধু সাহিদা পরিবার না, ওই গ্রামের অধিকাংশ নারী-পুরুষ ওই মাঠে ধান শুকাচ্ছিলেন।

চলতি বোরো মৌসুমে যশোরের মণিরামপুরে মাঠ থেকে ধান কাটা প্রায় শেষের পর্যায়। এ মুহুর্তে ধান ঝাড়া (পরিস্কার) করাও শেষের পথে। পরবর্তি আমন মৌসুম পর্যন্ত খাওয়ার চাল বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাইতো গ্রামের সিংহভাগ পরিবারে চলছে ধান সেদ্ধ ও শুকানোর কাজ।

জামাই ইব্রাহিম তার শাশুড়ি নূরজাহানকে ধান শুকানোর কাজে সহযোগিতা করছেন। অবশ্য বসে ছিলেন না মেয়ে আসমাও তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে মাকে সাহায্য করছেন।

এসময় কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, আগে গ্রামের প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়ি সংলগ্ন খলেন (বড় উঠান) থাকতো। কিন্তু আজ গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাঁকা জায়গার অভাব। সেই কারনে স্কুল মাঠ কিংবা ফসলি মাঠের ফাঁকা জায়গায় নাইলোনের সুতোই বুনা নেট (জাল)-এর উপর ধান শুকানো হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!