• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিমুলিয়ায়-বাংলাবাজারে পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ১২, ২০২১, ১০:০৬ এএম
শিমুলিয়ায়-বাংলাবাজারে পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

মুন্সীগঞ্জ : কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রাজধানী ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। আর বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাই দুই পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। লাশবাহী ও রোগীবাহী জরুরি অ্যাম্বুলেন্সও দীর্ঘ সময় ধরে ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষায় থাকা মানুষের বিড়ম্বনা বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঘাটে আসা খুলনাগামী প্রাইভেটকারের যাত্রী মনির হোসেন জানান, দ্রুত পার হওয়ায় জন্য রাত ৩টায় ঘাটে আসলেও ফেরিতে ওঠা সম্ভব হয়নি। কখন যে ফেরিতে ওঠা যাবে তারও কোনো ভরসা পাচ্ছি না।

গোপালগঞ্জগামী মাইক্রোবাস যাত্রী চুন্নু মিয়া জানান, ভোরে এসে লাইনে আছি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইনও বাড়ছে, কিন্তু গাড়ি নড়ছে না। অনেকক্ষণ পরপর ছোট ফেরি আসে। ফেরিতে যে গাড়ি উঠছে বেশিরভাগই ভিআইপি পরিচয়ে চলে যাচ্ছে। লঞ্চেও ভিড় রয়েছে। এদিকে উত্তাল পদ্মায় অতিরিক্ত যাত্রীবহন পারাপার করছে লঞ্চগুলো। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই সেখানে।

বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বহরে ১৮ ফেরি থাকলেও চলাচল করছে মাঝারি ধরনের ৫টি ফেরি। বড় ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুই পারের চাপ কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না, অপেক্ষমাণ যানের লাইন বাড়ছে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ট্রাক ও বড় বাস পারাপার সীমিত করা হয়েছে। ছোট যান পারাপার করেই কুলোনো যাচ্ছে না। রো রো ফেরিগুলো পাটুরিয়া পাঠানো হচ্ছে। দুইপাড়ে সাত শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ রুটে ৮৭টি লঞ্চই চলাচল করছে। ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারেও যাত্রী পার হচ্ছেন। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পদ্মা সেতুর সঙ্গে চার বার ফেরির ধাক্কা লাগে। সবশেষ সোমবার (৯ আগস্ট) রাতে দুর্ঘটনার পরই মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসে নৌ মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত হয় স্রোত না কমা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যান নিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

আবার রাতে স্রোত স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরিগুলো সক্ষমতার অর্ধেক ভারী যান নিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বন্ধ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাতে আসে নতুন এ সিদ্ধান্ত।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ সমাধান নয় উল্লেখ করে পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, আধুনিক যুগে এমন স্রোত মোকাবিলার সক্ষমতা থাকা জরুরি। কোনো অবস্থাতেই ৪০০ ফুটের জায়গাতে ৫০ ফুটের ফেরি ধাক্কা খাওয়া ঠিক নয়। সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এটাই হচ্ছে সমাধান।

বুধবার বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেন, আগে একটি ফেরিতে ১০টা ট্রাক উঠত এখন ৫টা তোলা হলে হবে, এরসঙ্গে হালকা যানবাহন থাকবে। তাহলে মাস্টারের ফেরি ঘোরাতে কম কষ্ট হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!