সাভার: সাভারের আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার সভাপতি আবুল হাসনাত আজাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় তাকে বহনকারী রিকশা চালক মনিরকেও ছুরিঘাত করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) গভীর রাতে দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার শেরআলী মার্কেট মোড়ে হঠাৎ তার রিক্সা গতিরোধ করে দুই যুবক এরপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন। আবুল হাসনাত আজাদ আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজিরচটের শেরআলী মার্কেট এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
এঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ পরিক্ষা করে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রিকশা থেকে নেমে এক যুবককে চড়থাপ্পড় দেন আবুল হাসনাত আজাদ। এরপর ওই যুবক তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এমতাবস্থায় হাসনাত দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পিছনে ধাওয়া করেন ওই যুবক।
আহত রিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, আমি ওই নেতাকে তার ব্যক্তিগত অফিস থেকে রাত আড়াইটার দিকে আমার রিকশায় উঠাই। তিনি তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। আমরা শেরআলী মার্কেটে পৌঁছালে দুই যুবক রাস্তার মাঝখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। আমি হর্ণ বাজালেও তারা সাইড না দিয়ে আমাদের গতিরোধ করে। এসময় হাসনাত ভাইয়ের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। তাদের মধ্যে একজন কাকে যেন ফোন করেন। ফোনে কথা শেষ করেই তারা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। আমি বাঁধা দিলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
আহতের ছোট ভাই মহসীন আজাদ বলেন, আমরা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার সারা শরীরে ৭ টি ছুরিকাঘাতের গভীর ক্ষত রয়েছে।
মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী সবুর উদ্দিন জানান, হাসনাত রাতে রিকশা করে ত্রীমোড় এলাকায় পৌঁছালে দুই যুবক তাকে গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি এতটুকুই দেখেছি। পরে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ আল মামুন জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারী কুটুরিয়া এলাকার মনসুরের ছেলে বাবুল। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতের দুই ঘাড়ে, পেটের বা পাশে ও পিঠেসহ প্রায় সাত স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
সোনালীনিউজ/এমএম/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :