• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলায় সম্রাট গ্রেফতার


মেহেরপুর প্রতিনিধি: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম
পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলায় সম্রাট গ্রেফতার

মেহেরপুর: মুজিবনগর উপজেলায় পর্নোগ্রাফি ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সম্রাট আলী (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

সম্রাট আলী মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবরুল ইসলামের ছেলে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে তোলে পুলিশ।

সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি উপজেলার বাবুপুর গ্রামের এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে যান। ওই কিশোরীকে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করেন। তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক বার্তামাধ্যম ইমো ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

সম্রাটের বিরুদ্ধে ধারা ৮(১), ৮(২) ৮(৩) ২০২০ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৯(১) ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি তিনি। একই গ্রামের আবরুল ইসলামের ছেলে সম্রাট আলী ও দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে তার বন্ধু মোকলেসকে (২০)।

মামলার বাদীর এজাহার থেকে জানা গেছে, সম্রাট আলী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর গত ২ জুন মহাজনপুরর থেকে বিয়ে করবে বলে তুলে নিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার বাজারের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে তিনি একটি কাগজে সই নেন। ভুক্তভোগীকে বলা হয়, তাদের বিয়ে হয়েছে। তার দুজন মিলে কিশোরীর বাবার বাড়ি আসেন। সেখানে সম্রাট তিনদিন অবস্থান করেন।

এ কয়দিন তারা স্বামী স্ত্রীর মতোই বসবাস করেন। তিনদিন পর সম্রাট চলে যান। এরপর গত তিনমাস ধরে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত ১৫ আগস্ট সম্রাট কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ভুক্তভোগী তাকে নিয়ে মহাজনপুর গ্রামে তার খালুর বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তারা রাত কাটান। এ সময় সম্রাট ভুক্তভোগীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে।

চলতি মাসের ২ তারিখে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশীরা জানান, সম্রাট তার নগ্ন ছবি-ভিডিও মেসেঞ্জার ও ইমোর মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ ও ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগের পর সেটি যাচাই বাছাই ও তদন্ত করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সম্রাটকে গ্রেফতার করার পর দুপুরে আদালতে তোলা হয়। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। যে মোবাইলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি জব্দ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!