• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, সিলেটে এক বছরে ঝরেছে ৩৩৭ প্রাণ


সিলেট ব্যুরো: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম
সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, সিলেটে এক বছরে ঝরেছে ৩৩৭ প্রাণ

সিলেট: সিলেটের সড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে মোট ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৩৭ জন ও আহত হয়েছেন ৪৩৫ জন।

এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিহত ও ২৪৮ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত ও ৬১ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৮৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত ও ৯৬ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২২ সালের সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে মহাসড়ক ভিত্তিক দুর্ঘটনার তথ্যে ২০২২ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৮৫টি দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং ১৮৭ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। নিসচা’র প্রতিবেদনে ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালে ১৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট বিভাগে ২৫০ জন নিহত ও ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য-সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা’র শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, চালকদের মাদকে আসক্তি, মহাসড়কে নির্মান ত্রুটি, শিশুদের উপযোগী আসন না থাকা, সড়ক-মহাসড়কের মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল চালকদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, রাস্তার পাশে হাট বাজার ও দোকানপাট বসানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া ইত্যাদি মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া প্রতিবেদনে জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশার আলাদা লেন না থাকা, ব্যাটারিচালিত যান সড়ক-মহাসড়কে উঠে বেপরোয়া গতিতে চলা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রাক্রসিং, ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র পারাপার ও রাস্তা চলাচল ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে দায়ী করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!