গাজীপুর: আসছে পবিত্র ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র ১ দিন। যেসব কারখানায় কাজের চাপ কম ছিলো ইতিমধ্যে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের এসব মিল-কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিক-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি গত রোববার থেকেই প্রদান করেছেন। তাই গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) পর্যন্ত গাজীপুর মহাসড়কে গণপরিবহন সংকট না থাকায় ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের যানজটে পড়তে হলেও কোন না কোন ভাবে গাড়ি ম্যানেস করে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।
তবে যেসব কারখানা ছুটি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ও আজ বুধবার এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার লোকজন বাড়ীতে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় চলে এসেছেন। কিন্তু আজ বুধবার (২৮ জুন) ভোর সকাল ৫ থেকেই গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন না পাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অভিমুখী ৭ জেলার ঘরমুখো মানুষেরা।
যাত্রীদের অভিযোগ,স্থানীয় প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশে দিগুণ ভাড়া নৈরাজ্য করার জন্যই চৌরাস্তা এলাকায় কৃত্রিম গণপরিবহন সংকট তৈরি করেছে পরিবহন চালক ও মালিকরা।
সরেজমিনে, সকাল ৬ টায় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে,গাজীপুরের ঢাকা- টাঙ্গাইল ও ঢাকা- ময়মনসিংহ এই দুই মহাসড়কে ঈদে বাড়ি ফেরা কয়েক হাজার মানুষদের ভিড় শুরু হওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে এবং দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়ায় এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছেন। অপর দিকে যাও আবার কিছু গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও দিগুণ ভাড়া নৈরাজ্য হচ্ছে। ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা ৫০০ টাকার ভাড়া ১০০০ টাকা ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ময়মনসিংহের শেরপুর জেলার অভিমূখী যাওয়া অনেক যাত্রীরা গণপরিবহন না পাওয়ায় ছোট ছোট দুই একটা পিকআপ ট্রাকের দেখা পেলেই তারা দৌড়ে গাড়ি থামিয়ে দিচ্ছে। যদি ভাড়ায় মিলে যাচ্ছে তাহলে হুড়া হুডি করে গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন। সোনালী নিউজ এর সঙ্গে কথা হয় এমোনি এক ট্রাক ভর্তি যাত্রীদের মধ্যে সুমাইয়া দুলাল,তারেক, মিন্টু, আরিফ ও মর্জিনার সঙ্গে।
তারা বলেন, আজ সকাল থেকেই থেকে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এমনিতেই এক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর পর আবার গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এসে দেখি দূরপাল্লার বাস খুব কম যা দুই একটা পাওয়া যাচ্ছে তাও ভাড়া দিগুণ। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাকে করেই বাড়ি যাচ্ছি। তারা আরও বলেন,পরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়তি নেওয়ার জন্য কৃত্রিম গাড়ি সংকট সৃষ্টি করেছেন।
সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই







































